হাওড়ায় হানাহানির বহর বেড়েছে না কমেছে, সেই তর্কে না ঢুকেও এটা তথ্যগত সত্য যে, হাওড়ার ওলাবিবিতলা সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতি তাদের এবারের পুজোর আয়োজনে মনে করছে, বর্তমান সমাজে জাতি-বর্ণ-ধর্মের নামে হানাহানির প্রতিকার হল মানববন্ধন। মানুষে-মানুষে একাত্মবোধ গড়ে তোলা। এবং সেটার শ্রেষ্ঠ প্রচার হতে পারে দুর্গাপুজোর ভাবনায়। উৎসবের আঙিনায়।
তাই এঁদের পুজোর এ বারের থিম ‘উৎসবের বন্ধন’-এর মাধ্যমে সেই মানববন্ধন, মানুষে-মানুষে একাত্মবোধকে জাগিয়ে তোলা হচ্ছে। এর জন্য প্যান্ডেলটি থিম শিল্পী বিশ্বরঞ্জন রাজ সাজিয়ে তুলছেন গাছগাছালির অসংখ্য শুকনো ডাল, প্রচুর তালপাতার হাতপাখা এবং মূলতঃ শ'দুয়েক ছোট-বড় নানা আকারের, নানা ভঙ্গিমার কাঠের পুতুল দিয়ে। দুর্গা মন্ডপের দেওয়ালগুলো থেকে শুরু করে ‘সিলিং’- সর্বত্র পটশিল্পের নিদর্শনের পাশাপাশি কাঠপুতুলগুলি থাকছে মানববন্ধন ভঙ্গিমায়।
ওলাবিবিতলা সার্বজনীন দুর্গোৎসব সমিতির প্রচার সচিব অখিল ভট্টাচার্য আনন্দবাজার অনলাইন-কে বলছেন, তাঁদের পুজো মন্ডপে পরস্পরের অপরিচিত দর্শনার্থীরাও একাত্মবোধ অনুভব করতে পারেন, এমন ভাবেই চারপাশের আবহ গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রতিমা শিল্পী সনাতন পাল বাংলার ঐতিহ্যশালী একচালা, ডাকের সাজে মা-কে সাজিয়ে তুললেও সেটা এঁদের এ বছরের থিমের সঙ্গে চমৎকার মানিয়ে গিয়েছে।
ভাবনা : উৎসবের বন্ধন
ভাবনায় : বিশ্বরঞ্জন রাজ
প্রতিমা শিল্পী : সনাতন পাল
কীভাবে যাবেন : দ্বিতীয় হুগলি সেতু দিয়ে হাওড়ায় পড়ে ব্রিজ শেষ হতেই প্রথম ডানদিকে মন্দিরতলা, সেখানকার হাজার হাত কালী মন্দিরের গা ঘেঁষে হয় এই বারোয়ারি পুজো।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy