সাবেকিয়ানা এবং ঐতিহ্যকে বজায় রেখে আধুনিক থিম-এর ব্যবহার এবং মিশ্রণ এই পুজোর প্রধান বৈশিষ্ট্য। ৫০০ বছরের পুরনো হাওড়া শহরের পুজোর ইতিহাসে যে সব পুজোর নাম প্রথম দিকে থাকে তার মধ্যে চ্যাটার্জিহাট শ্রী শ্রী দুর্গাপূজা সঙ্গম পুজো অন্যতম। যেখানে মা চণ্ডী রূপে পূজিত হন এবং রাজবেশ পরিহিতা থাকেন। এই কারণেই মাকে হাওড়ার মানুষেরা রাজরানি রূপে ডাকেন। পুজোর চার দিন এখানে থাকে ভোগের ব্যাবস্থা। বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় এই পুজোকে কেন্দ্র করে।
সাবেকি আনা এবং ঐতিহ্যের সঙ্গে থিম শিল্পের মিশেল এই পুজোর মূল আকর্ষণ। এই বছর পুজোর থিম বাংলার হারিয়ে যাওয়া লোক শিল্প। নানা মাটির মূর্তিতে সেজে উঠছে মাতৃ মণ্ডপ। তবে মণ্ডপে যতই থিমের বাহার থাক না কেন, প্রতিমা কিন্তু হয় সাবেকি ঢঙেই। দ্বাদশীর দিন বিশাল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে মায়ের নিরঞ্জন হয়। তার আগে সমগ্র পল্লিবাসী মেতে ওঠে সিঁদুর খেলায়।
হারিয়ে যাওয়া বাঙালির লোকশিল্প যা ‘হেরটিজে’ মর্যাদা পাবার যোগ্য, তাকেই সকলের কাছে তুলে ধরা এবং তার শিল্পী এবং শিল্পকে সন্মান জানানোই ক্লাব এর উদ্দেশ্য।
পুজোর সম্পাদক দেবদ্বীপ ভট্টাচার্যের কথায়, ‘‘প্রতি বছরের মতো এই বছরেও মানুষের ঢল নামবে আশা রাখছি। আগে মানুষ কেবল কলকাতায় পুজো দেখতে যেত। এখন আর সেই বিভেদ নেই। মানুষ হাওড়াতেও ঠাকুর দেখতে আসেন।’’
কী ভাবে যাবেন - দ্বিতীয় হুগলি সেতু দিয়ে হাওড়ার দিকে আসতে হবে। টোল প্লাজা পেরিয়ে এগোলেই প্রথম ক্রসিং ‘ক্যারিরোড’। ওই মোড় থেকে ডান দিকে রাস্তা পার হয়ে সোজা এগোতে হবে। মিনিট দুয়েক এগোলেই চ্যাটার্জিহাট মোড়, চ্যাটার্জিহাট থানা পেরিয়ে বাঁ হাতে চোখে পড়বে পুজো মণ্ডপ।
প্রতিমা শিল্পী- সনাতন রুদ্রপাল
থিম- বাংলার লোকশিল্প
থিম শিল্পী- অমিত পাল
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy