জানা যায়, ১৮৩০-এ পুরনো ঢাকার সূত্রাপুর অঞ্চলের ব্যবসায়ী নন্দলাল বাবুর মৈসুন্ডির বাড়িতে আয়োজিত হয় ঢাকার সবচেয়ে বড় দুর্গাপুজো। সিপাহি বিদ্রোহের সময়, ১৮৫৭-তে, বিক্রমপুর পরগণার ভাগ্যকূল জমিদার বাড়ির রাজা ব্রাদার্স এস্টেট এবং সাটুরিয়া থানার বালিহাটির জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজো আয়োজন করা হয়। সিদ্ধেশ্বরী জমিদার বাড়ি এবং বিক্রমপুর হাউজেও বেশ জাঁকজমক করেই পুজোর আয়োজন করা হয় সেই সময়।
১৯২২-২৩ নাগাদ ঢাকার আরমানিটোলায় জমিদার শ্রীনাথ রায়ের বাড়ির পুজোও বেশ নামকরা ছিল। এছাড়াও রয়েছে সিদ্ধেশ্বরী কালিবাড়ি, রমনা কালিবাড়ি, রামকৃষ্ণ মিশন ইত্যাদি। রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল, কলাবাগান, উত্তরা এবং বনানীর পুজো। ধীরে ধীরে এই পুজোগুলিতে আধুনিকতার মেলবন্ধন ঘটে। এই মণ্ডপগুলিতে হিন্দুদের পাশাপাশি মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সব ধর্মের মানুষ উৎসাহ ভরে অংশ নিতেন।
বিংশ শতকের শুরুর দিকে ওপার বাংলায় শুধুমাত্র সমাজের বিত্তশালী ও অভিজাত হিন্দু পরিবারগুলি দুর্গাপুজোর আয়োজন করত। গত শতাব্দীর শেষের দিকে এখানে দুর্গাপুজো সর্বজনীনতার রূপ পায়। আসলে দেশভাগের পর একক ভাবে পুজোর আয়োজন যেমন ব্যয়সাপেক্ষ হয়ে ওঠে তেমনই অন্য দিকে অভিজাত ও বিত্তশালীদের প্রভাব প্রতিপত্তি কমতে থাকে। এর ফলে প্রথমে বারোয়ারি এবং ক্রমে সর্বজনীন পুজোর প্রচলন হয়।
অন্য দিকে কথিত আছে, বাংলাদেশের রাজশাহীতে প্রথম দুর্গাপুজো শুরু হয় ১৫৮৩—এ। শোনা যায়, তাহেরপুরের রাজা কংস নারায়ণ প্রথম দুর্গাপুজোর প্রবর্তন করেন। তিনি বাংলার বারো ভূঁইঞার এক ভূঁইঞা। সেই সময়কার রাজাদের মধ্যে নিজের সামাজিক প্রতিপত্তি প্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি এই পুজোর আয়োজন করেন। প্রায় আট লক্ষ টাকা খরচ করেন সে সময়ের হিসেবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy