ছবি- ইনস্টাগ্রাম
গলায় স্টেথোস্কোপ, হাতে তুলি। চিকিৎসকের তুলির টানে মৃন্ময়ী রুপ পাচ্ছেন দেবী দুর্গা। এরকমই এক ছবি ধরা পড়ল বারাসাতের নবপল্লীতে। পেশায় চিকিৎসক হলেও ছোট থেকে যত্নের সঙ্গে গড়ে তুলেছেন প্রতিমা। কখনও কালী, কখনও দুর্গা। একই সঙ্গে সামলাচ্ছেন পেশাগত জীবনকেও। কথা হচ্ছে বারাসাত নবপল্লীর ভদ্র বাড়ির চিকিৎসক অনুপম ধরের।
বাংলাদেশে প্রথম শুরু হয় ধর বাড়ির পুজো। পুজোর বয়স প্রায় ২০ বছর। প্রথম দিকে শুধু ঘট পুজোর মধ্য দিয়েই আরাধনা করা হত দেবী দুর্গাকে। তবে, বিগত সাত বছর ধরে কাঠামো তৈরি করে দেবী দুর্গার মূর্তি পুজো করা হয় ধর বাড়িতে। এই সাত বছরের প্রতিটি দুর্গা মূর্তিই চিকিৎসক অনুপম ধরের হাতে তৈরি। এই বছরও পুজো শুরু হওয়ার বেশ কিছু মাস আগে থেকেই মূর্তি তৈরি কাজ শুরু করে দিয়েছেন চিকিৎসক।
প্রথমে দিল্লির ইএসআই হাসপাতালে জুনিয়র রেসিডেন্ট চিকিৎসক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। এর পরে পুরুলিয়ার দেবেন মাহাতো মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে বিগত পাঁচ বছর ধরে কর্মরত চিকিৎসক অনুপম ধর। বিভিন্ন রোগীকে দেখতে প্রায় সারাদিনই সময় চলে যায় তাঁর। তবে, পুজোর এই ক’টা মাস হাজার ব্যস্ততার মাঝেও তুলির টানে চলতে থাকে প্রতিমা গড়ন।
শুধু প্রতিমা গড়নই নয়, চিকিৎসক অনুপম মাটির তৈরি যে কোনও জিনিস খুব সহজেই তৈরি করে ফেলতে পারেন তিনি। মাটি নিয়ে কারুকার্য করা ছোটবেলা থেকেই শখ তাঁর। ধীরে ধীরে এই সখই নেশার মতন হয়ে গিয়েছে চিকিৎসক অনুপমের কাছে। অনুপমের এ হেন অসাধারণ প্রতিভা হার মানাবে প্রতিমা শিল্পীর কারিগরদেরও।
তিন চার মাস নাওয়া-খাওয়া ভুলে শুধুই চলতে থাকে তুলির টান। পুজোর পাঁচটা দিন বাড়িতেই কেটে যায় আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে। ১০৮ টি পদ্ম দিয়ে মায়ের পুজো, পায়েস, মিস্টি, পিঠে পুলি সঙ্গে পরিবারের আড্ডাতেই কেটে যায় চিকিৎসক তথা মৃৎশিল্পী অনুপম ধরের।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy