Advertisement

Associate Partner

Style Partner

Associate Partner

Weddings Partner

Food Partner

Durga Puja 2020

লকডাউনের একঘেয়েমি কাটাতে প্রতিমা গড়ল অর্ঘ্যদীপ, পুজোয় সামিল হবেন পড়শিরা

পড়াশোনার পাশাপাশি ক্রিকেট খেলতে, ছবি আঁকতে এবং মাটি দিয়ে পুতুল বানাতে ভালবাসে অর্ঘ্যদীপ।

অভিজিৎ সাহা
ইংরেজ বাজার শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২০ ০৪:৩০
Share: Save:

প্রতিমা তৈরির পাশাপাশি পুজোও নিজেই করে অর্ঘ্যদীপ। প্রতীকী চিত্র।

স্কুল,টিউশনের মতোই ‘করোনা’ কেড়েছে সবুজ মাঠও।ঘরবন্দি থেকেই তিন ফুটের দুর্গা প্রতিমা গড়েছিল অষ্টম শ্রেণির অর্ঘ্যদীপ দাস। করোনা-আবহে এখন অর্ঘ্যদীপের পুজোয় সামিল হয়ে উৎসবের চারদিন কাটানোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন ইংরেজ বাজারে বিশ্বনাথ মোড়ের মহেশপুরের বাসিন্দারা।

মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ নির্মলেন্দু দাস ও স্ত্রী পায়েলের একমাত্র ছেলে অর্ঘ্যদীপ। ইংরেজবাজার শহরের অক্রুর মণিকরোনেশন ইনস্টিটিউটের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র পড়াশোনার পাশাপাশি ক্রিকেট খেলতে, ছবি আঁকতে এবং মাটি দিয়ে পুতুল বানাতে ভালবাসে। করোনা-পরিস্থিতিতে গত ছ’মাস ধরেস্কুল, টিউশন বন্ধ।পাড়ার মাঠে গিয়ে খেলা-ধুলোর ওজো নেই।অগত্যা বাড়ির চার দেওয়ালের মধ্যেই দিন কাটছিল। অর্ঘ্যদীপ জানায়, একঘেয়েমি কাটাতেই অগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে দুর্গাপ্রতিমা গড়া শুরু করে সে। মাটি দিয়ে পুতুলের আকারে দুর্গা মূর্তি আগেও তৈরি করেছিল।তবে কাঠামো গড়ে খড়, মাটি দিয়ে দুর্গা প্রতিমা এই প্রথম।

মূর্তি তৈরির খরচ অর্ঘ্যদীপ নিজের টিফিনের টাকা জমিয়েই জোগাড় করেছে বলে জানিয়েছেন পরিবারের লোকেরা।ওই কিশোর বলে, “আটশো টাকা দিয়ে দুই বস্তা মাটি কিনে আনতে হয়েছে।প্রতিমার রং, অলঙ্কার কেনা বাকি।প্রায় হাজার খানেক টাকা খরচ হবে। সেই টাকা টিফিনের খরচ বাঁচিয়েই জোগাড় করা হয়েছে।”

আরও পড়ুন: প্রকৃতির কোলে পশু পাখি চেনাই মানুষকে, সেই তো আমার পুজোর আনন্দ

কীভাবে মাটির প্রতিমা তৈরির কাজ শেখা? অর্ঘ্যদীপের কথায়, “এলাকাতেই প্রতিমা তৈরির ঘর রয়েছে।পড়াশোনা, খেলা ধুলোর ফাঁকে সেখানে গিয়ে কাজ দেখতাম।দেখতে দেখতেই শেখা।প্রথমে ছোট ছোট প্রতিমা তৈরি করেছি।এ বার লকডাউনে বাড়িতেই বসেছিলাম। তাই তিন ফুটের প্রতিমা গড়তে শুরু করি। এখনও প্রতিমার রং, চক্ষুদানবাকি।”

প্রতিমা তৈরির পাশাপাশি পুজোও নিজেই করে অর্ঘ্যদীপ। মা পায়েল বলেন,“মন্ত্রউচ্চারণ থেকে শুরু করে পুজোর খুঁটিনাটি আয়োজন সব একা হাতেই করে ছেলে। কোথা থেকে কীভাবে শিখেছে, আমরা কিছুই জানিনা। ছেলের মূর্তি গড়া এবং পুজোর উৎসাহে কখনও বাধা দিইনি।”

আরও পড়ুন: গজে গমনে শান্তির বার্তা, মানুষের পাশে বালিগঞ্জ কালচারাল

অর্ঘ্যদীপের এই পুজোতেই এ বার সামিল হতে চান বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশী উর্বশী বসাক সিংহ, ইতিদাস, মিঠুসরকারেরা। তাঁরা বললেন, “করোনা- আবহে পাড়ার মণ্ডপে ভিড় করে বসা যাবেনা। তাই পুজোর কয়েকটা দিন আমরা সময় কাটাব অর্ঘ্যদীপের পুজোতেই।”

অন্য বিষয়গুলি:

Durga Puja 2020 Durga Puja Celebration 2020 Durga Puja Special Durga Puja Nostalgia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy