Advertisement

Associate Partner

Style Partner

Associate Partner

Weddings Partner

Food Partner

service Kali of Bankura

মানত করলেই মিলে যায় চাকরি! অটুট ভক্তি নিয়ে সোনামুখী ছোটে ‘সার্ভিস কালী’র কাছে

এখনকার চাকরির বাজারে একটা ভাল চাকরি জোটানো প্রায় এভারেস্ট জয়ের সমান! সেখানেই বাঁকুড়ার সোনামুখীর মানুষের ভরসা 'সার্ভিস কালী'।

সার্ভিস কালী

সার্ভিস কালী

আনন্দ উৎসব ডেস্ক
বাঁকুড়া শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২৪ ২৩:৫৭
Share: Save:

উচ্চশিক্ষা শেষ করে অনেকেরই লক্ষ্য থাকে একটি ভাল প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার। এ দিকে, এখনকার চাকরির বাজারে একটা ভাল চাকরি জোটানো প্রায় এভারেস্ট জয়ের সমান! সেখানেই বাঁকুড়ার সোনামুখীর মানুষের ভরসা 'সার্ভিস কালী'। তাঁর কাছে নাকি মন থেকে চাইলেই চাকরি পাওয়া যায়! স্থানীয় অনেকের এমনটাই বিশ্বাস। আর সেই বিশ্বাসেই পূজিত হয়ে আসছেন এখানকার এই মা কালী। শুধু এলাকার বাসিন্দারা নন, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও চাকরি পাওয়ার মনস্কামনা নিয়ে বহু মানুষ ছুটে যান সার্ভিস কালীর দোরে।

বাকুঁড়ার থেকে ৪৫ কিমি দূরে সোনামুখী। সেখানেই এই সার্ভিস কালীর মন্দির। ভক্তদের বিশ্বাস, মা খুবই জাগ্রত। যদি কেউ অন্তর থেকে তাঁকে ডাকেন, তবে চাকরি নিশ্চিত। প্রতি বছর কালীপুজোয় তাই শয়ে শয়ে মানুষ এখানে ভিড় জমান। মা কালীর এমন নামকরণ অবশ্য পুরোপুরি মানুষের ভক্তি ও বিশ্বাসের উপরে নির্ভর করে। মন্দিরের পুরোহিতেরা জানান, জাগ্রত দেবী সকলের মনের কথা শোনেন। কিছুতেই চাকরি না পাওয়া মানুষ যদি ভক্তিভরে মা-কে ডাকেন, তিনি অবশ্যই সাড়া দেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা এ-ও দাবি করেন, সোনামুখীর কিছু ব্যক্তি কোনও ভাবেই বাস পরিষেবা চালু করার লাইসেন্স পাচ্ছিলেন না। তাঁরা দেবী 'সার্ভিস কালী'র মন্দিরে এক টাকা বা ষোলো আনা দিয়ে মানত করেন। তার পরেই নাকি দিনের পর দিন চেষ্টা করেও যে বাস পরিষেবা চালু করা যাচ্ছিল না, তার লাইসেন্স অচিরেই মিলে যায়।

এই ধরনের বহু গল্প জড়িয়ে আছে এই সার্ভিস কালীকে ঘিরে। বাঁকুড়ার সোনামুখীতে গেলে এই সার্ভিস কালীর কাছে মনস্কামনা জানিয়ে আসতেই পারেন। কথাতেই আছে, ‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু’...

এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE