বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া কোভিড মহামারির ভয়াবহ রূপ আমরা দেখেছি। সেই সময় গোটা মানবজাতির ওপর অসুর রূপে অত্যাচার চালিয়েছে এই ভাইরাস। শেষ পর্যন্ত করোনার টিকা আবিষ্কার হওয়ার পরেই তাকে পরাস্ত করা যায়। আর এই কর্মযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত বিজ্ঞানীরা কোনও দেব বা দেবীর থেকে কম নন। ঠিক সেটাই এই বছরের নিজেদের দুর্গাপুজোয় তুলে ধরতে চলেছে বেহালার ইয়ং ম্যান অ্যাসোসিয়েশন।
১৯৫০ সালে এই পুজো কমিটি নিজেদের প্রথম পুজো শুরু করে। এই বছর ৭৪ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে তারা। থিমের নাম তাঁরা দিয়েছেন ‘আমার মা’। করোনার মহামারির সময় কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন তৈরি করার যে ২৫ জনের দল ছিল তাঁদের একজন হলেন চন্দ্রাবলী দত্ত। তাঁকে সম্মান জানানোর উদ্দেশ্য নিয়ে এ বছরের পুজোর থিমের ভাবনা ভাবা হয়েছে বেহালার ইয়ং ম্যান অ্যাসোসিয়েশনের তরফে।
পুজোর কার্যকরী কমিটির সদস্য পলাশ সাহা বলেন, ‘‘করোনা মহামারির সময় মানুষ কোনও বিপদ-আপদে যাদের সবসময় ডাকেন সেই মন্দির। মসজিদ, গির্জার দরজা বন্ধ ছিল। একমাত্র খোলা ছিল বিজ্ঞানীদের দরজা। তাঁরা তাদের জীবন বাজি রেখে ভ্যাকসিন তৈরি করেছেন। এ বছরের পুজোতে কোভিশিল্ড টিকা প্রস্তুতকারক দলের অংশ চন্দ্রাবলী দত্তকে সম্মান জানাতে আমাদের এই ভাবনা।’’ ১৫ অক্টোবর এই বছরের পুজোর উদ্বোধন করা হবে। পুজোর ফিতে কাটবেন চন্দ্রাবলী দত্ত নিজে।
থিমের নাম- আমার মা
থিম শিল্পী- সঞ্জয় বোস
প্রতিমা শিল্পী- দীপেন মণ্ডল
যাবেন কী করে- তারাতলা থেকে বেহালাগামী বাসধরে অজন্তা সিনেমা হলের সামনে নেমে তার ঠিক উল্টো দিকের রাস্তাতে গেলে ডাক্তার বোসের চেম্বার ঠিক সেখানেই এই পুজো।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy