৮৪ তম বর্ষেও একই ভাবে পুরনো হালের পুজো ধরে রেখেছে ২৭ পল্লী বিজয়ী সংঘ। দক্ষিণ কলকাতার এই পুজো শুরু হয়েছিল ১৯৩৯ সালে। সেই পথ চলা শুরু ইতিহাসে সমৃদ্ধ এই পুজোর।
ক্লাবের তরফ থেকে গৌতম দত্ত জানালেন, ‘‘পুজো শুরু হয়েছিল সে কালের বেশ কিছু মহিলাদের হাত ধরে। টালমাটাল সামাজিক পরিস্থিতিতে যখন মহিলাদের বাড়ির বাইরে যাওয়ারই অনুমতি ছিল না, এই পাড়ার মহিলারা নিজে হাতে তখন স্বাধীনতা সংগ্রামী হরিপদ বন্দ্যোপাধ্যায়, গণেশ ঘোষ এনাদের সঙ্গে মিলে ২৭ পল্লী বিজয়ী সংঘের পুজোর যাত্রা শুরু। এই বছর যেমন আমরা মণ্ডপ তৈরি করেছি বিষ্ণুপুর রাজবাড়ির নাটমন্দিরের আদলে। দেবতা ও মানুষের একই সঙ্গে সবার বাঁ, এই ভাবনা রয়েছে মণ্ডপসজ্জায়। একই ভাবে বিষ্ণুপুর রাজবাড়ির প্রতিমার আদলে মুকুট পরিহিতা প্রতিমা তৈরি হয়েছে, যিনি এলোকেশী এবং লাল পাড় সাদা শাড়ির সাজ রয়েছে। পিছনে রয়েছে চালচিত্র যা সেজে উঠেছে কড়ি, কুলো ও হাতপাখা দিয়ে।’’
অসুর অস্ত্র মায়ের পায়ের কাছে রেখে বসে থাকবেন মণ্ডপে। আবার মণ্ডপে আরও থাকছে চমক অজানা বিপ্লবী ও স্বাধীনতা সংগ্রামীদের মূর্তি।
প্রতিমা শিল্পী : উত্তম পাল
কী ভাবে যাবেন : রাসবিহারী থেকে চেতলার দিকে যেতে সেতুর গা দিয়ে বাঁ দিকে কেওড়াতলা শ্মশানের রাস্তা ধরে সোজা আসবেন। প্রতাপাদিত্য প্লেস ও টালিগঞ্জ রোডের ঠিক সংযোগস্থলে রয়েছে এই পুজো মণ্ডপ।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy