Advertisement

Associate Partner

Style Partner

Associate Partner

Weddings Partner

Food Partner

Bengal Ghost Stories

‘একানড়ে’ থেকে ‘মামদো, বাংলার হারিয়ে যাওয়া ভূতেদের চেনেন? ভূতচতুর্দশীতে ফিরে দেখা তেনাদের গপ্পো

কয়েক দশক আগেও বাংলার ভূতুড়ে গল্পে ছিল বাঙালি ভূতেদের কাণ্ডকারখানা। প্রযুক্তি আর সোশ্যাল মিডিয়ার এই রমরমা যুগে কল্পরাজ্যে কি আজও সে ভাবেই দেখা মেলে তাদের? নাকি উধাও হয়ে গেল বাঙালি ভূতের দল? চারপাশের ঝকঝকে আলোয় আজও টিকে রয়েছে তথাকথিত ‘মেনস্ট্রিম’ বাঙালি ভূতেরা। ব্রহ্মদৈত্য, মামদো, শাঁকচুন্নি, পেত্নি, যখের মতো চেনা ভূতেরা আজও ভেসে বেড়ায় গল্পকথায়। কিন্তু সেই অর্থে লিখিত নয়, মূলত লৌকিক জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে থাকা যে ‘লোকাল’ ভূতেরা, তারা গেল কোথায়?

আনন্দ উৎসব ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৪ ১০:১৩
Share: Save:
০১ ২৭
ভূত-পেত্নী মানেই একরাশ রোমাঞ্চ! ছেলেবেলা থেকে বড়বেলা, গা ছমছমে ভূতুড়ে গল্পের স্বাদই আলাদা!

ভূত-পেত্নী মানেই একরাশ রোমাঞ্চ! ছেলেবেলা থেকে বড়বেলা, গা ছমছমে ভূতুড়ে গল্পের স্বাদই আলাদা!

০২ ২৭
বইমেলায় বই কেনা, মা-ঠাকুমার চাদরের নীচে বসে লোডশেডিং-এর গল্প শুনতে শুনতে গা শিরশিরিয়ে ওঠা– ভূত নিয়ে রোমাঞ্চের শুরুটা হত সেই ছোট্টবেলাতেই। তার পর বড় হয়ে ওঠার সঙ্গী হয়ে থেকে যেত ভূতেরা এবং তাদের ঘিরে ছমছমে ভয়ও।

বইমেলায় বই কেনা, মা-ঠাকুমার চাদরের নীচে বসে লোডশেডিং-এর গল্প শুনতে শুনতে গা শিরশিরিয়ে ওঠা– ভূত নিয়ে রোমাঞ্চের শুরুটা হত সেই ছোট্টবেলাতেই। তার পর বড় হয়ে ওঠার সঙ্গী হয়ে থেকে যেত ভূতেরা এবং তাদের ঘিরে ছমছমে ভয়ও।

০৩ ২৭
কিন্তু কয়েক দশক আগেও বাংলার ভূতুড়ে গল্পে ছিল বাঙালি ভূতেদের কাণ্ডকারখানা। প্রযুক্তি আর সোশ্যাল মিডিয়ার এই রমরমা যুগে কল্পরাজ্যে কি আজও সে ভাবেই দেখা মেলে তাদের? নাকি উধাও হয়ে গেল বাঙালি ভূতের দল?

কিন্তু কয়েক দশক আগেও বাংলার ভূতুড়ে গল্পে ছিল বাঙালি ভূতেদের কাণ্ডকারখানা। প্রযুক্তি আর সোশ্যাল মিডিয়ার এই রমরমা যুগে কল্পরাজ্যে কি আজও সে ভাবেই দেখা মেলে তাদের? নাকি উধাও হয়ে গেল বাঙালি ভূতের দল?

০৪ ২৭
চারপাশের ঝকঝকে আলোয় আজও টিকে রয়েছে তথাকথিত ‘মেনস্ট্রিম’ বাঙালি ভূতেরা। ব্রহ্মদৈত্য, মামদো, শাঁকচুন্নি, পেত্নি, যখের মতো চেনা ভূতেরা আজও ভেসে বেড়ায় গল্পকথায়। কিন্তু সেই অর্থে লিখিত নয়, মূলত লৌকিক জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে থাকা যে ‘লোকাল’ ভূতেরা, তারা গেল কোথায়?

চারপাশের ঝকঝকে আলোয় আজও টিকে রয়েছে তথাকথিত ‘মেনস্ট্রিম’ বাঙালি ভূতেরা। ব্রহ্মদৈত্য, মামদো, শাঁকচুন্নি, পেত্নি, যখের মতো চেনা ভূতেরা আজও ভেসে বেড়ায় গল্পকথায়। কিন্তু সেই অর্থে লিখিত নয়, মূলত লৌকিক জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে থাকা যে ‘লোকাল’ ভূতেরা, তারা গেল কোথায়?

০৫ ২৭
ভূতচতুর্দশীর আগে খুঁজে দেখা যাক বাংলার হারিয়ে যাওয়া বিখ্যাত পাড়াগেঁয়ে ভূতেদের গল্প!

ভূতচতুর্দশীর আগে খুঁজে দেখা যাক বাংলার হারিয়ে যাওয়া বিখ্যাত পাড়াগেঁয়ে ভূতেদের গল্প!

০৬ ২৭
ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, ”যেমন জল জমাইয়া বরফ হয়, অন্ধকার জমিয়া তেমনি ভূত হয়।” কী সহজ অথচ কী অব্যর্থ বিশ্লেষণ! এ কথা ঠিকই, ত্রৈলোক্যনাথ এখানে ‘অন্ধকার’ শব্দটিকে আরও বহু দূর পর্যন্ত বিস্তৃত করে দিয়েছিলেন। ‘মানুষের মনের ভিতরকার অন্ধকারের হিসেবও ধরা ছিল তাতে।

ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় বলেছিলেন, ”যেমন জল জমাইয়া বরফ হয়, অন্ধকার জমিয়া তেমনি ভূত হয়।” কী সহজ অথচ কী অব্যর্থ বিশ্লেষণ! এ কথা ঠিকই, ত্রৈলোক্যনাথ এখানে ‘অন্ধকার’ শব্দটিকে আরও বহু দূর পর্যন্ত বিস্তৃত করে দিয়েছিলেন। ‘মানুষের মনের ভিতরকার অন্ধকারের হিসেবও ধরা ছিল তাতে।

০৭ ২৭
মনের অন্ধকারের কথা না হয় থাক। অষ্টাদশ শতাব্দী কিংবা তারও আগে যখন বিদ্যুতের আলোর বালাই ছিল না, তখন সন্ধে নামলেই ঘনিয়ে আসত আঁধার। সেই অন্ধকারের ইতিহাসেই রয়ে গিয়েছে এমন সব ভূত, যারা মিশে থাকত এই বাংলার জল-মাটি-হাওয়ায়।

মনের অন্ধকারের কথা না হয় থাক। অষ্টাদশ শতাব্দী কিংবা তারও আগে যখন বিদ্যুতের আলোর বালাই ছিল না, তখন সন্ধে নামলেই ঘনিয়ে আসত আঁধার। সেই অন্ধকারের ইতিহাসেই রয়ে গিয়েছে এমন সব ভূত, যারা মিশে থাকত এই বাংলার জল-মাটি-হাওয়ায়।

০৮ ২৭
‘কঙ্কাবতী’ উপন্যাসের শুরুর দিকে ত্রৈলোক্যনাথের বর্ণনা, ”সন্ধ্যা হইলে ঘরে বসিয়া লোকে নানারূপ ভূতের গল্প করে, সেই গল্প শুনিয়ে বালক-বালিকার শরীর শিহরিয়া ওঠে।” খোদ বঙ্কিমচন্দ্রও নাকি মেদিনীপুরের কাঁথিতে দেখা পেয়েছিলেন এক প্রেতিনীর, যাকে নিয়ে লিখতে শুরু করেছিলেন ‘নিশীথ রাক্ষসীর কাহিনী’। আমজনতা থেকে খ্যাতিমান, বাঙালি জীবনে ভূতের আনাগোনা সেই সময়ে এক অন্য মাত্রা পেয়েছিল।

‘কঙ্কাবতী’ উপন্যাসের শুরুর দিকে ত্রৈলোক্যনাথের বর্ণনা, ”সন্ধ্যা হইলে ঘরে বসিয়া লোকে নানারূপ ভূতের গল্প করে, সেই গল্প শুনিয়ে বালক-বালিকার শরীর শিহরিয়া ওঠে।” খোদ বঙ্কিমচন্দ্রও নাকি মেদিনীপুরের কাঁথিতে দেখা পেয়েছিলেন এক প্রেতিনীর, যাকে নিয়ে লিখতে শুরু করেছিলেন ‘নিশীথ রাক্ষসীর কাহিনী’। আমজনতা থেকে খ্যাতিমান, বাঙালি জীবনে ভূতের আনাগোনা সেই সময়ে এক অন্য মাত্রা পেয়েছিল।

০৯ ২৭
একানড়ে-  একটামাত্র পা নিয়েই ঘুরে বেড়াত একানড়ে। ‘একটি নড়ি’ অর্থাৎ একখানা লাঠি হাতে ঘুরে বেড়ানো ভূত একানড়ের একটামাত্র পা। আর সেটাকে সম্বল করেই নড়বড় করে ঘুরে বেড়াত সে! এই ভূতকে বছর কয়েক আগে গানে ফিরিয়ে এনেছিল বাংলা ব্যান্ড চন্দ্রবিন্দু– ‘আমার ঘাড়ে একানড়ে ঠ্যাং ঝুলিয়ে নাচে!’

একানড়ে- একটামাত্র পা নিয়েই ঘুরে বেড়াত একানড়ে। ‘একটি নড়ি’ অর্থাৎ একখানা লাঠি হাতে ঘুরে বেড়ানো ভূত একানড়ের একটামাত্র পা। আর সেটাকে সম্বল করেই নড়বড় করে ঘুরে বেড়াত সে! এই ভূতকে বছর কয়েক আগে গানে ফিরিয়ে এনেছিল বাংলা ব্যান্ড চন্দ্রবিন্দু– ‘আমার ঘাড়ে একানড়ে ঠ্যাং ঝুলিয়ে নাচে!’

১০ ২৭
গলাসি- আর এক সাংঘাতিক ভূত গলাসি। গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলে গলাসি হয়। মানুষকে সারা ক্ষণ গলায় দড়ি দিতে উস্কানি দেওয়ার বদনাম তার ঝুলিতে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, তার সঙ্গে মোলাকাতও মোটেই সুখকর হত না।

গলাসি- আর এক সাংঘাতিক ভূত গলাসি। গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলে গলাসি হয়। মানুষকে সারা ক্ষণ গলায় দড়ি দিতে উস্কানি দেওয়ার বদনাম তার ঝুলিতে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, তার সঙ্গে মোলাকাতও মোটেই সুখকর হত না।

১১ ২৭
কানাওয়ালা ভুত- কানাওয়ালা ভূত বা ভুলো আবার মানুষের দিক ভুলিয়ে দেয়। রীতিমতো চেনা এলাকা দিয়েই যেতে যেতেও আচমকা কিছুতেই আর গন্তব্যে পৌঁছতে না পারলে সেটা হতেই পারে কানাওয়ালার কাজ।  তার পরে ঘুরপাক একই জায়গা জুড়ে।

কানাওয়ালা ভুত- কানাওয়ালা ভূত বা ভুলো আবার মানুষের দিক ভুলিয়ে দেয়। রীতিমতো চেনা এলাকা দিয়েই যেতে যেতেও আচমকা কিছুতেই আর গন্তব্যে পৌঁছতে না পারলে সেটা হতেই পারে কানাওয়ালার কাজ। তার পরে ঘুরপাক একই জায়গা জুড়ে।

১২ ২৭
জটাধারী- জটাধারীর বাস জলের তলায়। সাঁতার কাটতে কাটতে এর গায়ে পা দিয়ে ফেললেই গোলমাল! নিজের জটায় পা জড়িয়ে ধরে জলে ডুবিয়ে মারে জটাধারী।

জটাধারী- জটাধারীর বাস জলের তলায়। সাঁতার কাটতে কাটতে এর গায়ে পা দিয়ে ফেললেই গোলমাল! নিজের জটায় পা জড়িয়ে ধরে জলে ডুবিয়ে মারে জটাধারী।

১৩ ২৭
পাঁচু ঠাকুর- ইনি আসলে লৌকিক দেবতা। যদিও তাঁর দেহাকৃতি ও বেশভুষার সঙ্গে মিল রয়েছে শিবের। কেউ কেউ বলে থাকেন তিনি শিবেরই পুত্র। যাই হোক, এই পাঁচুরই দুই সঙ্গী জরাসুর ও ধনুষ্টংকার।

পাঁচু ঠাকুর- ইনি আসলে লৌকিক দেবতা। যদিও তাঁর দেহাকৃতি ও বেশভুষার সঙ্গে মিল রয়েছে শিবের। কেউ কেউ বলে থাকেন তিনি শিবেরই পুত্র। যাই হোক, এই পাঁচুরই দুই সঙ্গী জরাসুর ও ধনুষ্টংকার।

১৪ ২৭
পেত্নী- পেত্নী হলো মেয়ে ভূত, যার বেঁচে থাকতে কিছু অতৃপ্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল এবং আইবুড়ো অবস্থাতেই যার মৃত্যু হয়েছে।

পেত্নী- পেত্নী হলো মেয়ে ভূত, যার বেঁচে থাকতে কিছু অতৃপ্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা ছিল এবং আইবুড়ো অবস্থাতেই যার মৃত্যু হয়েছে।

১৫ ২৭
শাকচুন্নি-  শাকচুন্নিরা সাধারণত ধনী বিবাহিতাদের উপরে ভর করে বা আক্রমণ করে, যাতে নিজেরা সেই মহিলার মতো বিবাহিত জীবন উপভোগ করতে পারে। লোকগাথা অনুসারে, শেওড়া গাছে তাদের বাস।

শাকচুন্নি- শাকচুন্নিরা সাধারণত ধনী বিবাহিতাদের উপরে ভর করে বা আক্রমণ করে, যাতে নিজেরা সেই মহিলার মতো বিবাহিত জীবন উপভোগ করতে পারে। লোকগাথা অনুসারে, শেওড়া গাছে তাদের বাস।

১৬ ২৭
চোরাচুন্নি- চোরাচুন্নি অত্যন্ত দুষ্ট ভূত। এরা মানুষের অনিষ্ট করে থাকে। সাধারণত কোনও চোরের মৃত্যু হলে নাকি চোরাচুন্নিতে পরিণত হয়।

চোরাচুন্নি- চোরাচুন্নি অত্যন্ত দুষ্ট ভূত। এরা মানুষের অনিষ্ট করে থাকে। সাধারণত কোনও চোরের মৃত্যু হলে নাকি চোরাচুন্নিতে পরিণত হয়।

১৭ ২৭
পেঁচাপেঁচি- এ ধরনের ভূত সচরাচর দেখা যায় না। পেঁচাপেঁচি ভূতের ধারণা তৈরি হয়েছে পেঁচার থেকে। এর স্ত্রীলিঙ্গ হল পেঁচি। এরা জোড়ায় থাকে ও জোড়াতেই শিকার করে।

পেঁচাপেঁচি- এ ধরনের ভূত সচরাচর দেখা যায় না। পেঁচাপেঁচি ভূতের ধারণা তৈরি হয়েছে পেঁচার থেকে। এর স্ত্রীলিঙ্গ হল পেঁচি। এরা জোড়ায় থাকে ও জোড়াতেই শিকার করে।

১৮ ২৭
মেছো ভূত- এ ধরনের ভূতেরা মাছ খেতে পছন্দ করে। মেছো শব্দটি বাংলার মাছ থেকে এসেছে। মেছো ভূত সাধারণত গ্রামের পুকুরপাড়ে বা জলাশয়ের ধারে থাকে, যেখানে বেশি মাছ পাওয়া যায়। মাঝে মাঝে গেরস্থের রান্নাঘর বা জেলেদের নৌকা থেকেও মাছ চুরি করে খায় তারা।

মেছো ভূত- এ ধরনের ভূতেরা মাছ খেতে পছন্দ করে। মেছো শব্দটি বাংলার মাছ থেকে এসেছে। মেছো ভূত সাধারণত গ্রামের পুকুরপাড়ে বা জলাশয়ের ধারে থাকে, যেখানে বেশি মাছ পাওয়া যায়। মাঝে মাঝে গেরস্থের রান্নাঘর বা জেলেদের নৌকা থেকেও মাছ চুরি করে খায় তারা।

১৯ ২৭
দেও- এ ধরনের ভূত পুকুর-ডোবা, নদী এবং বিভিন্ন জলাশয়ে বসবাস করে। এরা লোকজনকে জলে ফেলে ডুবিয়ে মারে বলেই বিশ্বাস। জলাশয়ে স্নান করতে আসা মানুষদের একা পেলে নাকি এরা নীচ থেকে তাদের পা টেনে ধরে জলের গভীরে নিয়ে যায়।

দেও- এ ধরনের ভূত পুকুর-ডোবা, নদী এবং বিভিন্ন জলাশয়ে বসবাস করে। এরা লোকজনকে জলে ফেলে ডুবিয়ে মারে বলেই বিশ্বাস। জলাশয়ে স্নান করতে আসা মানুষদের একা পেলে নাকি এরা নীচ থেকে তাদের পা টেনে ধরে জলের গভীরে নিয়ে যায়।

২০ ২৭
মামদো-  এদের শরীরের গঠন অদ্ভূত। কোমরের নীচ থেকে ক্রমান্বয়ে সরু হয়ে গিয়েছে। এদের পা নেই এবং বাতাসে ভেসে থাকে। এদের কারও মাথায় টুপি এবং লম্বা দাড়ি দেখতে পাওয়া যায়। এরা নাকি সাধারণত কবরস্থান ও আশেপাশে থাকা বড় ও ঘন গাছপালায় বসবাস করে।

মামদো- এদের শরীরের গঠন অদ্ভূত। কোমরের নীচ থেকে ক্রমান্বয়ে সরু হয়ে গিয়েছে। এদের পা নেই এবং বাতাসে ভেসে থাকে। এদের কারও মাথায় টুপি এবং লম্বা দাড়ি দেখতে পাওয়া যায়। এরা নাকি সাধারণত কবরস্থান ও আশেপাশে থাকা বড় ও ঘন গাছপালায় বসবাস করে।

২১ ২৭
গেছো- গেছো ভূত থাকে গাছে। লোকগাথা অনুসারে, যে সব মানুষ গাছের ডালে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে, তাদের আত্মা সেই গাছেই থেকে যায় এবং গেছো ভূতে পরিণত হয়।

গেছো- গেছো ভূত থাকে গাছে। লোকগাথা অনুসারে, যে সব মানুষ গাছের ডালে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে, তাদের আত্মা সেই গাছেই থেকে যায় এবং গেছো ভূতে পরিণত হয়।

২২ ২৭
ব্রহ্মদৈত্য- এ ধরনের ভূত সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং এরা সাধারণত কারও ক্ষতি করে না। এ ধরনের ভূতেরা নাকি ব্রাহ্মণের ভূত। সাধারণত এরা সাদা ধুতি ও পৈতে পরিহিত অবস্থায় বিচরণ করে। এদের পবিত্র ভূত হিসেবে গণ্য করা হয়।

ব্রহ্মদৈত্য- এ ধরনের ভূত সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং এরা সাধারণত কারও ক্ষতি করে না। এ ধরনের ভূতেরা নাকি ব্রাহ্মণের ভূত। সাধারণত এরা সাদা ধুতি ও পৈতে পরিহিত অবস্থায় বিচরণ করে। এদের পবিত্র ভূত হিসেবে গণ্য করা হয়।

২৩ ২৭
বেঘো- এরা হল সেই সব মানুষের আত্মা, যারা বাঘের আক্রমণে মৃত্যুবরণ করেছে। এই ভূতেরা জঙ্গলে মধু সংগ্রহে যাওয়া গ্রামবাসীদের ভয় দেখায় এবং বাঘের কাছাকাছি নিয়ে যেতে চেষ্টা করে।

বেঘো- এরা হল সেই সব মানুষের আত্মা, যারা বাঘের আক্রমণে মৃত্যুবরণ করেছে। এই ভূতেরা জঙ্গলে মধু সংগ্রহে যাওয়া গ্রামবাসীদের ভয় দেখায় এবং বাঘের কাছাকাছি নিয়ে যেতে চেষ্টা করে।

২৪ ২৭
স্কন্ধকাটা- এই ভূতেরা মাথাবিহীন। সচরাচর এরা হলো সেই সব লোকের আত্মা, যাদের মাথা কেটে গিয়েছে রেলে কাটা পড়ে, কিংবা খুন, অপঘাত বা অন্য কোনও দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে। এই শ্রেণির ভূতেরা নাকি সব সময়ে তাদের হারানো মাথা খুঁজে বেড়ায় এবং অন্য মানুষকে আক্রমণ করে।

স্কন্ধকাটা- এই ভূতেরা মাথাবিহীন। সচরাচর এরা হলো সেই সব লোকের আত্মা, যাদের মাথা কেটে গিয়েছে রেলে কাটা পড়ে, কিংবা খুন, অপঘাত বা অন্য কোনও দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে। এই শ্রেণির ভূতেরা নাকি সব সময়ে তাদের হারানো মাথা খুঁজে বেড়ায় এবং অন্য মানুষকে আক্রমণ করে।

২৫ ২৭
ঝেঁয়ো পেত্নী- সাধারণত ঝাউগাছে এরা নিজেদের লুকিয়ে রাখে। ভরসন্ধ্যায় পথিক যদি একা একা সেই ঝাউবন বা জঙ্গল পেরোতে যায়, তখন তাকে ধরে ঝাউয়ের মগডালে চড়িয়ে দেয় এ জাতীয় পেত্নীরা!

ঝেঁয়ো পেত্নী- সাধারণত ঝাউগাছে এরা নিজেদের লুকিয়ে রাখে। ভরসন্ধ্যায় পথিক যদি একা একা সেই ঝাউবন বা জঙ্গল পেরোতে যায়, তখন তাকে ধরে ঝাউয়ের মগডালে চড়িয়ে দেয় এ জাতীয় পেত্নীরা!

২৬ ২৭
ডাকিনী- ডাইনি বুড়িদের অনুগত শ্রেণির এই ভূত। পাতিহাঁস খেতে নাকি খুব ভালবাসে এরা। থাকে পুকুর বা দীঘির ধারে, কোনও তাল বা নারকেল গাছে। রাতদুপুরে অল্পবয়সী মেয়ের বেশে ঘুরে বেড়ানো এদের অন্যতম অভ্যাস।

ডাকিনী- ডাইনি বুড়িদের অনুগত শ্রেণির এই ভূত। পাতিহাঁস খেতে নাকি খুব ভালবাসে এরা। থাকে পুকুর বা দীঘির ধারে, কোনও তাল বা নারকেল গাছে। রাতদুপুরে অল্পবয়সী মেয়ের বেশে ঘুরে বেড়ানো এদের অন্যতম অভ্যাস।

২৭ ২৭
গোভূত- গলায় দড়িতে জড়িয়ে অপঘাতে গরু মরে এই ধরনের ভূত হয়ে থাকে। স্কন্ধকাটার মতো এদেরও মাথা থাকে না।

গোভূত- গলায় দড়িতে জড়িয়ে অপঘাতে গরু মরে এই ধরনের ভূত হয়ে থাকে। স্কন্ধকাটার মতো এদেরও মাথা থাকে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE