Must try Rolls around Kolkata during durga puja dgtl
Kolkata Street Food
কলকাতায় সব চেয়ে ভাল রোলের ঠিকানা এগুলিই!
পুজোর বাজারে দামে কম অথচ পেট ভরা খাবার, টালা থেকে টালিগঞ্জ, গড়িয়াহাট থেকে শ্যামবাজার, উল্টোডাঙা থেকে গড়িয়া, সল্টলেক-নিউটাউন-রাজারহাট, গোটা শহরে চাইলেই সকাল থেকে মাঝরাত সবসময় মেলে, এমন মুখরোচক খাবার সম্ভবত একটিই আছে। এগরোল।
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৩ ১৪:৪১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৭
দুর্গোৎসব শুরু। আজ মহাষষ্ঠী। ঠাকুর দেখার পালা দেবীপক্ষ পড়তেই শুরু হয়ে গেলেও মায়ের বোধন আজই। আর বলাই যায়, আজ থেকে শহর কলকাতা পুরোপুরি নেমে পড়বে বা এর মধ্যেই নেমে পড়েছে পথে! কেবল শহরই নয়, শহরতলি থেকেও বাঁধ ভাঙা মানুষের ঢল কলকাতার রাস্তায় এখন পাঁচ দিন-রাত একাকার করে ঘুরবে-বেড়াবে, খাবে-দাবে, আনন্দ-ফূর্তি করবে।
০২১৭
আর বলুন তো, সাত থেকে সত্তর, ছেলে-মেয়ে, বুড়ো-বুড়ি, বাচ্চা-কাচ্চা, বেশিরভাগের হাতে এখন কোন খাদ্যবস্তুটি সবচেয়ে বেশি দেখবেন? যাকে বলে গণহারে? ঠিক ধরেছেন! রোল! পুজোর বাজারে দামে কম অথচ পেট ভরা খাবার, টালা থেকে টালিগঞ্জ, গড়িয়াহাট থেকে শ্যামবাজার, উল্টোডাঙা থেকে গড়িয়া, সল্টলেক-নিউটাউন-রাজারহাট, গোটা শহরে চাইলেই সকাল থেকে মাঝরাত সবসময় মেলে, এমন মুখরোচক খাবার সম্ভবত একটিই আছে।
০৩১৭
পুজোর বাজারে দামে কম অথচ পেট ভরা খাবার, টালা থেকে টালিগঞ্জ, গড়িয়াহাট থেকে শ্যামবাজার, উল্টোডাঙা থেকে গড়িয়া, সল্টলেক-নিউটাউন-রাজারহাট, গোটা শহরে চাইলেই সকাল থেকে মাঝরাত সবসময় মেলে, এমন মুখরোচক খাবার সম্ভবত একটিই আছে।
০৪১৭
এগরোল। আর উৎসবের সময় যদি কলকাতার সেরা এগরোলের দোকানগুলোর সন্ধান আগেভাগে পাওয়া যায়, তাহলে তো কথাই নেই! এখানে রইল তারই সন্ধান।
০৫১৭
কুসুম রোল'স - এগরোল তো বটেই, কলকাতার অন্যতম এই 'ফাস্ট ফুড'-এর দোকানে এগ-চিকেন, এগ-মটন, এগ-পনির, এগ-চিজ, এগ-মেয়োনিজ এমনকি এগ-লিভার (চিকেন ও মটনের) মিলেজুলে নয়-নয় করে ১৮ রকমের বিভিন্ন রকমারি এগরোল পাবেন। দামও তেমন বেশি কিছু নয়। ৪০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২২০ টাকার ভেতরে। কোথায় - পার্ক স্ট্রিট মেট্রো রেল স্টেশনের গায়ে। দোকান খোলা - সকাল ১১টা-রাত ১১টা। পুজোর ক'দিন মাঝ রাত পেরিয়েও খোলা থাকছে।
০৬১৭
নিজাম'স - কাটিরোলের জন্য এরা বিখ্যাত। কলকাতার সম্ভবত প্রাচীনতম রোলের দোকান। ১৯৩০ সাল থেকে যাদের পথ চলার শুরু। কাটিরোলের জনক বলা যায় এদের। এগরোল তো দিনভর এখানে চাইলেই পাবেন, কিন্তু বেশি খাওয়ার চেষ্টা করে দেখুন এদের এগ-চিকেন কাটিরোল, ডাবল এগ-চিকেন কাটিরোল কিংবা এগ-মটন কাটিরোল, ডাবল এগ-মটন কাটিরোল। দাম ১০০ টাকা থেকে ১৯০ টাকার মধ্যে। এখানে আরেক ধরনের এগরোল পাওয়া যায়। দারুণ খেতে। এগ-আলুরোল। দাম এক পিস ৭০ টাকা। কোথায় - নিউ মার্কেট, ধর্মতলায়। দোকান খোলা - সকাল ৭টা থেকে রাত ১১টা। পুজোর সময়ে প্রায় সারা রাত খোলা।
০৭১৭
কার্কো হেরিটেজ - এরাও নামী কাটিরোলের দোকান। তাহলেও এদের ডাবল এগ-চিকেন রোল খেলে মুখে লেগে থাকে। দাম এক পিস ১১০ টাকা। সবমিলিয়ে এখানে ৭-৮ রকমের বিভিন্ন এগরোল পাবেন। দাম ৫৫-১১০ টাকা। কোথায় - ধর্মতলায় নিউ মার্কেটের ভিতরে। দোকান খোলা - সকাল ১০টা-রাত ১১টা।
০৮১৭
কার্কো হেরিটেজ - এরাও নামী কাটিরোলের দোকান। তাহলেও এদের ডাবল এগ-চিকেন রোল খেলে মুখে লেগে থাকে। দাম এক পিস ১১০ টাকা। সবমিলিয়ে এখানে ৭-৮ রকমের বিভিন্ন এগরোল পাবেন। দাম ৫৫-১১০ টাকা। কোথায় - ধর্মতলায় নিউ মার্কেটের ভিতরে। দোকান খোলা - সকাল ১০টা-রাত ১১টা।
০৯১৭
জিশান - এখানে আবার এগরোলের পাশাপাশি বোটিরোল-এর বিরাট জনপ্রিয়তা। পার্ক সার্কাসের দুর্গাঠাকুর দেখতে গিয়ে নিশানের এগ-মটন বোটিরোল খেতে ভুলবেন না। দাম এক পিস ৬০ টাকা। বস্তুত, এদের সব ধরনের এগরোলের দামি তুলনায় কম। ৩০ টাকা থেকে ৬০ টাকার ভেতর। সে কারণে সারা বছরই ভিড় লেগে থাকে দোকানে। পুজোর সময় স্বভাবতই যেটা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। তাই এখানে এগরোল খেতে গেলে হাতে বেশ সময় নিয়ে যাবেন। কোথায় - পার্ক সার্কাসের কাছে সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউয়ে। দোকান খোলা - সকাল ১০টা-রাত ১১টা। পুজোয় রাত ২টো পর্যন্ত খোলা।
১০১৭
ক্যাম্পারি - গড়িয়াহাট অঞ্চলের অন্যতম সেরা এগরোলের দোকান। এঁদের এগ-চিকেন, এগ-মটন 'কম্বো' রোল খেতে যেমন ব্যাপক ভাল, দামেও তেমনই কম। সকাল ৮টা থেকে এখানে এগরোল পাবেন। দক্ষিণ কলকাতার অন্যতম অভিজাত বারোয়ারি দুর্গাপুজোর রাস্তাতেই দোকান বলে পুজোর সময় মাঝরাতেও খোলা পাবেন। ক্যাম্পারির স্পেশ্যাল এগ-চিকেন, স্পেশ্যাল মটন রোলের পাশাপাশি এগ-পনির রোল খেলেও তার স্বাদ মুখে লেগে থাকে। খানপাঁচেক বিভিন্ন ধরনের স্পেশ্যাল এগরোল এখানে পাওয়া গেলেও দাম ৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৮০ টাকার মধ্যে। কোথায় - গড়িয়াহাটের কাছে ডোভার লেনে। দোকান খোলা - সকাল ৮টা-রাত ৯টা। পুজোর সময় রাত ১২টা পর্যন্ত।
১১১৭
বেদুইন - গড়িয়াহাট তথা সম্ভবত দক্ষিণ কলকাতারই অন্যতম প্রাচীন তথা জনপ্রিয় এগরোলের দোকান। বর্তমানে বাড়তে বাড়তে এখানে শুধু এগরোলেরই ৯-১০ রকমের বিভিন্ন রকমারি রেসিপি খেতে পাবেন। তুলনায় দাম অবিশ্বাস্য রকমের কম! কোনও প্রকারের এগরোলের দামই একশো টাকার ওপরে নয়। সব চেয়ে কম সাধারণ এগরোল এক পিস ৩৫ টাকা। সর্বোচ্চ ৯০ টাকা। তার জন্য বছরভর প্রতিদিন ভিড় লেগে থাকে। পুজোর সময় তো কথাই নেই! বেদুইনের বিশেষত্ব হল এগ-ফিশ টিকিয়া রোল। খুব কম জায়গাতেই পাবেন। কোথায় - গড়িয়াহাট ফ্লাইওভারের ধারে, গোলপার্কের দিকে। দোকান খোলা - সকাল ১১টা-রাত ১০টা। পুজোর সময় সকাল ১০টা থেকে মাঝরাত পেরিয়েও খোলা।
১২১৭
অনির'স - উত্তর কলকাতার নামী এগরোলের দোকান। সুস্বাদু, একই সঙ্গে দামে কম। যে কারণে অনির'স-এ সবসময় ভিড় লেগেই থাকে। পুজোয় যা স্বভাবতই কয়েক গুণ বাড়বে। এদের এগ-টিকিয়া রোলের স্বাদ দুর্ধর্ষ। একবার খেলে বারবার বাগবাজার ছুটতে ইচ্ছে করতে পারে খেতে। মোট হাফ ডজন বিভিন্ন ধরনের এগরোল এখানে পাওয়া যায়। সব প্রকারের এক পিস এগরোলের দাম একশো টাকার নীচে। কোথায় - বাগবাজারে শ্যামবাজার রোডের ওপর।
১৩১৭
তৃপ্তি স্ন্যাকস বার - এটিও উত্তর কলকাতার এক জিভে জল আনা 'এগরোল সেন্টার'। এদেরও দোকানে যত ধরনের রকমারি এগরোল পাওয়া যায়, কোনওটারই দাম একশো টাকার বেশি নয়। সব মিলিয়ে শুধু বিভিন্ন ধরনের এগরোলই তৃপ্তি-তে পাওয়া যায় ছ'রকমের। দাম ৪০-৮০ টাকার মধ্যে। এদের বিশেষত্ব এগরোলে কাবাবের উপস্থিতি। এখানে এগ-চিকেন কাবাব, এগ-মটন কাবাব, এগ-পনির কাবাব একবার খেলে ভুলতে পারবেন না সারাজীবন। কোথায় - শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে। দোকান খোলা - সকাল ১২টা-রাত ১১টা। পুজোর সময় মাঝরাত পর্যন্ত খোলা।
১৪১৭
বর্ষা রেস্তোরাঁ - শুধু এগরোলই এক ডজন বিভিন্ন ধরনের রকমারি স্বাদের পাওয়া যায় এখানে। দমদম অঞ্চলের নাগেরবাজার মোড়ে সবচেয়ে বিখ্যাত এগরোলের দোকান। ৩০ টাকা দামের সাধারণ এগরোল থেকে শুরু করে দেড়শো টাকা দামের এক পিস ডাবল এগ-ডবল মটন রোল-ও পাবেন বর্ষা-এ। কোথায় - দক্ষিণ দমদমে, যশোর রোডের ওপর, নাগেরবাজার বাস গুমটির কাছে।
১৫১৭
আমিনিয়া - গড়িয়া, বেহালা, বালিগঞ্জ, টালিগঞ্জ, ধর্মতলায় তালতলার কাছে, চাঁদনি চক, রাজারহাট, গোলপার্ক- সারা কলকাতা জুড়ে আমিনিয়া-র সব শাখায় এগরোলের দারুণ কাটতি। খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু। এদের ৮ রকমের নানান ধরনের এগরোল হয়। এখানেও আপনি কাটিরোল পাবেন। এগ-চিকেন কাটিরোল এবং এগ-মটন কাটিরোল, দুই-ই। দামও তেমন আহামরি কিছু নয়। বস্তুত, এদের যেকোনও ধরনের এগরোল ৫০ টাকা থেকে ১৭০ টাকার ভেতরে, এক পিস। কোথায় - উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব কলকাতার নানা জায়গায় আমিনিয়া-র শাখা আছে। দোকান খোলা - সর্বত্র সকাল ১১টা-রাত ১০টা। পূজোর ক'দিন রাত ১২টা অবধি খোলা।
১৬১৭
আরসালান - মোট ৮-৯ রকমের বিভিন্ন ধরনের এগরোল পাবেন এখানে। এদের এগ-ভেজিটেবল রোল এবং এগ-টিকিয়া রোল দারুণ জনপ্রিয়। এগ-টিকিয়া রোল ও ডাবল এগ-মটন রোল ছাড়া আর কোনও ধরনের এগরোলেরই দাম একশো টাকার অধিক নয় আরসালানে। যার জন্য ভিড়ও সবসময় লেগে থাকে। কোথায় - পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্টসের কাছে। এছাড়াও কলকাতায় এদের নানা দিকে নানা শাখা আছে। দোকান খোলা - সকাল ১০টা-রাত ১০টা। পুজোর সময় মাঝরাত পর্যন্ত খোলা।
১৭১৭
হট কাটি রোল - পার্ক স্ট্রিটের ওপর আরও একটি দারুণ জনপ্রিয় এগরোলের দোকান। শুধুমাত্র নানান রকমারি ও দুর্দান্ত সুস্বাদু এগরোলের 'ভ্যারাইটি'-ই এখানে খেতে পারবেন ১২ রকমের। দামও দারুণ কিছু বেশি নয়। সব ধরনের রোজগেরে মানুষের সাধ্যের মধ্যে। সাধারণ এগরোল যেমন এক পিস ৪০ টাকায় পাওয়া যায়, তেমনই এদের সর্বোচ্চ দামের এগরোল- ডাবল এগ-ডাবল মটন রোল ২২০ টাকা। কোথায় - পার্ক স্ট্রিট। দোকান খোলা - দুপুর ১টা-রাত ১১টা। পুজোর সময় - বেলা ১২টা-রাত ১২টা। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।