আবর্তন রেস্তরাঁ
শুধু কি পেট ভরলেই হল? মন ভরাবে কে? সত্যিই তো! পেট ভরলেই কি তৃপ্তি আসে? যে খাবার মন ছুঁতে পারে না, সে খাবারে পেট ভরলেও, রসনা মেটে না। আর সেই কারণেই, বর্তমান প্রজন্ম ঝোঁকে এমন রেস্তরাঁর দিকে, যারা শুধু খাবারই পরিবেশন করবে না, সেই সঙ্গে এক স্বপ্নিল অভিজ্ঞতা দিয়ে যাবে। যে রেস্তরাঁ বর্ণে, গন্ধে, ছন্দে বা গীতিতে হৃদয়ে দোলা দেবে।
কলকাতার বুকে ঠিক এমনই এক অবাক করা রেস্তরাঁ নিয়ে হাজির হল আইটিসি রয়্যাল বেঙ্গল। তিলোত্তমার সমস্ত গাম্ভীর্য বুকে নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে যে স্থাপত্য; সেই আইটিসি রয়্যাল বেঙ্গলেই লঞ্চ হল ‘আবর্তন’। দক্ষিণী ঘরানাকে খাবারকে নবরূপে, নব কল্লোলে হাজির করেছে এই রেস্তরাঁ।
কথায় আছে ‘বিবিধের মাঝে যেন মিলন মহান’। ‘আবর্তন’-এর প্রতি কোর্সে ধরা পড়েছে সেই ছবি। কখনও দক্ষিণে মশলার সঙ্গে মিশে গিয়েছে ফরাসি প্রযুক্তি। কখনও বা কোনও সাধারণ পদ হয়ে উঠেছে অসাধারণ হয়ে উঠেছে প্রাচ্যের ছোঁয়ায়। ৩০০ বছরের যে শহরের বাসিন্দাদের খাদ্যবিলাসিতা বা ভোজনরসিকতা তাক লাগিয়ে দিয়েছে বিদেশীদের, সেই শহরে ‘আবর্তন’-এর আবির্ভাব খানিকটা আশীর্বাদের মতোই।
‘আবর্তন’ — সংস্ক্তে যার অর্থ হল ঘূর্ণন বা পরিভ্রমণ। অর্থাৎ যা ঘুরে চলেছে। বৈশ্বিক ভুবনগ্রামে খাবারের সেই পরিভ্রমণকেই যেন নতুনভাবে তুলে ধরার গল্প সাজিয়েছে এই রেস্তরাঁ। যে প্রসঙ্গে আইটিসি রয়্যাল বেঙ্গলের জেনারেল ম্যানেজার গৌরব সোনেজা জানাচ্ছেন, “প্রথাগত দক্ষিণ ভারতীয় পদগুলিকে আধুনিক রন্ধনপ্রণালীর ছোঁয়ায় সেগুলিকে পুনঃসংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। যা উপভোক্তাদের নিঃসন্দেহে এক অপূর্ব অভিজ্ঞতা প্রদান করবে।”
মূলত পাঁচ ধরনের কোর্স নিয়ে হাজির হয়েছে তারা — ‘মায়া’, ‘বেলা’, ‘জিয়া’, ‘আনিকা’, ‘তারা’। যার প্রতিটি কোর্সে রয়েছে স্বাদের জাদু। ২০১৭-তে আইটিসি গ্র্যান্ড চোলায় প্রথম খোলা হয় ‘আবর্তন’। ২০২১ ও ২০২২ সালে এশিয়ার সেরা ১০০ রেস্তরাঁর তালিকায় জায়গা করে নেয় তারা।
স্থানীয় মশলা, টাটকা নারকেল, উপাদেয় ঝোল, মিশ্রিত তেল, সুগন্ধি কারিপাতা এই পদগুলিকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে। নিরন্তর স্বাদ এবং আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশন নির্ধারিত মূল্যের সঙ্গে একেবারে মানানসই। শুধু মাত্র পদের ক্ষেত্রেই নয়, পরিবেশনের পাত্রেও রয়েছে নতুনত্বের ছোঁয়া। কোনও পদ পাথরের পাত্রে, আবার কোনওটি কাচের পাত্রে পরিবেশন করা হয়।
রেস্তরাঁর অভ্যন্তরীণ সাজেও রয়েছে আভিজাত্যের ছোঁয়া। যেমন, উপকূলীয় অঞ্চলের ঢেউয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তৈরি বেছে নেওয়া হয়েছে কার্পেটের নকশা। মৃদু আলো, হালকা রঙের কাঠের কাজ, রূপোলি রঙের ফ্যাব্রিক, কপার ও অ্যাম্বারের কাজ দক্ষিণের উষ্ণ অভ্যর্থনা বা আতিথেয়তাকেই সংজ্ঞায়িত করে।
‘আবর্তন’-এ মোট ৬২ জন অতিথি বসতে পারেন। এর মধ্যে প্রাইভেট ডাইনিং বিভাগে এক সঙ্গে ১০ জন অতিথি বসতে পারেন।
মায়া (৭ কোর্স): ২২৫০ টাকা +
বেলা (৯ কোর্স): ২৭৫০ টাকা +
জিয়া (১১ কোর্স): ৩২৫০ টাকা +
আনিকা (১৩ কোর্স): ৩৭৫০ টাকা +
তারা (১৩ কোর্স): ৪৭৫০ টাকা +
বুকিংয়ের জন্য ফোন করুন — ০৩৩ ৪৪৪৬৪৬৪৬
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy