প্রতীকী ছবি
কাজের চাপে খাওয়া দাওয়ার সময়ের বালাই নেই। পুজোর আগে পেটের অবস্থা বেহাল। কিন্তু পুজো মানেই তো আবার বাইরের খাওয়া দাওয়া। তাই পুজোর আগেই সুস্থ করে তুলুন আপনার শরীরকে। খাবার খান নিয়ম মেনে।
জলখাবার
একটি সুস্থ ডায়েট প্ল্যানের মুল উপাদান হলো সময়। সময়ের খাওয়া দাওয়া করা খুব জরুরি। সকালের জল খাবারটি আপনি খেয়ে নিন পারেন সকাল সাতটা থেকে নটার মধ্যে। মনে রাখবেন সকালের জল খাবারটি সব সময় হওয়া প্রয়োজন ভারী। তবে খাদ্য তালিকায় সেদ্ধ জাতীয় খাবার থাকাই ভাল।
দুপুরের খাবার
দুপুরের খাবারটি খেয়ে নিন দুপুর ১টার মধ্যে। খেতে পারেন ২৫০গ্রাম ভাত, সঙ্গে থাকুক শাক সব্জি, ডাল, মাছের ঝোল। কখনও থাকতে পারে মুরগি। তবে রেড মিট না খাওয়াই ভাল।
সন্ধ্যের স্ন্যাক্স
সন্ধ্যেবেলার স্ন্যাক্সটি খেয়ে নিন বিকেল চারটে থেকে পাঁচটার মধ্যে। মেনুতে থাকুক স্যান্ডুউইচ বা উপমা জাতীয় খাবার।
রাতের খাবার
রাতের খাবারটি কিন্তু অবশ্যই খেয়ে নিন সন্ধ্যে সাতটা থেকে আটটার মধ্যে। মনে রাখবেন রাতের মেনুতে যেনও থাকে হালকা খাবার। চেষ্টা করুন সেদ্ধ জাতীয় খাবার খাওয়ার। নাহলে খান দুটি রুটি ও একটি তরকারী। তরকারীটি সব্জি জাতীয় হলেই ভাল।
আপনার যদি চিনির রোগ থাকে তবে ডায়েটে থাকুক এই খাবারগুলি
আপনার যদি সুগার থাকে তবে স্টার্ক বা সুগার জাতীয় খাবার এড়িয়ে যান। খাদ্য তালিকায় ভাতের পরিমাণ কমান। সব্জির পরিমাণ বাড়ান। তবে আলু জাতীয় সব্জি এড়িয়ে যান। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। খেয়াল রাখুন যেন সঠিক মাত্রায় নিউট্রিশন আপনার শরীরে যায়। হঠাৎ সুগার লেভেল কমে গেলে চিনি বা লজেন্স খাওয়াতে পারেন।
মেদ কমাতে ডায়েটে থাকুক এই খাবারগুলি
মেদ কমাতে অনেকেই দীর্ঘক্ষণ পেট খালি রাখেন। কিন্তু এতে হিতের বিপরীত হতে পারে। নির্দিষ্ট সময়ের অন্তরে বারবার খাবার খাওয়া উচিত। মেদ কমানোর জন্য আপনার ডায়েটে থাকা প্রয়োজন সঠিক মাত্রায় নিউট্রিশন। সঙ্গে নিয়মিত ভাবে করুন ব্যায়াম।
বাদাম, কাজু বাদাম, কাঠ বাদাম, কিশমিশ জাতীয় ড্রাই ফ্রুট শরীরের জন্য খুব উপকারি। এ ছারাও একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যাক্তির সারাদিনের ডায়েট প্ল্যানের মধ্যে থাকা উচিত ৫০০ গ্রাম শাক সব্জি ও ১০০ গ্রাম ফল।
এ ছাড়াও বেরি জাতীয় ফল আপনার ত্বকের জন্য খুব উপকারি। এতে আছে অ্যান্থসায়ানিন যা আপনার ত্বককে বয়সের ছাপ থেকে দূরে রাখে। মনে রাখবেন সুন্দর ত্বক থেকে সুঠাম চেহারা সব কিছুই কিন্তু সম্ভব যদি আপনি সময় মেনে খাওয়া দাওয়া করেন। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে মেনে চলুন এই পরামর্শগুলি।
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy