প্রতীকী ছবি
পুজো মানেই মিষ্টিমুখের হাতছানি আর ডায়েটের চিন্তা উড়িয়ে প্রাণভরে খাওয়া। আর পদ হয় এমন, যা মিষ্টি আর ভাজাভুজির আদর্শ মেলবন্ধন, তা হলে তো কথাই নেই! সে মিষ্টি আর অন্য কিছু নয়, বাঙালির সাধের মালপোয়া।
অনেকেরই বাইরের খাবার খাওয়া বারণ। তাই বলে কি পুজোয় মালপোয়া খাবেন না? পুজোর সময়ে রসনাকে নাই বা করলেন মানা! এই প্রতিবেদনে রইল খুব সহজে বাড়িতেই মালপোয়া বানিয়ে নেওয়ার রেসিপি।
উপকরণ
মালপোয়ার জন্য:
১ কাপ ময়দা, হাফ কাপ সিমুই বা সুজি, ১/৪ কাপ গুড় কিংবা চিনি, ১/৪ টেবিল চামচ এলাচ গুঁড়ো, আধ টেবিল চামচ মৌরি, আধ কাপ দুধ, জল প্রয়োজন মতো, ডুবিয়ে ভাজার মতো পরিমাণ তেল, খোয়া, নারকেল, দই। কলা বা ওই জাতীয় ফল এবং ড্রাই ফ্রুটসও যোগ করতে পারেন তালিকায়।
সিরাপের জন্য:
১ কাপ চিনি, আধ কাপ জল, ১/৪ টেবিল চামচ এলাচ গুঁড়ো আর কয়েকটি কেশর।
পদ্ধতি
১। প্রথমে একটি বড় বাটিতে ময়দা, সুজি বা সিমুই বা রাভা আর চিনি নিয়ে নিন। তাতে মৌরি আর এলাচ গুঁড়ো যোগ করুন। এর পর বাটিতেই দুধ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। দেখবেন যেন ডেলা হয়ে না থাকে।
২। প্রয়োজন মতো জল দিয়ে ভাল করে পুরোটা মিশিয়ে নিন আবার। খেয়াল রাখুন, ব্যাটারটি যেন ঢালার উপযোগী পাতলা হয়, আবার খুব পাতলাও না হয়।
৩। পাঁচ মিনিট ধরে ব্যাটারকে ফেটিয়ে নিন। তার পরে আধ ঘণ্টার জন্য কোনও পাত্রে ঢাকা দিয়ে রেখে দিন।
৪। ব্যাটার একটু একটু করে গরম তেলে বা ঘি-তে দিয়ে ভাজুন। মালপোয়া ফুলে ভেসে উঠলেই তার উপর আবার গরম তেল দিন।
৫। মালপোয়া যত ক্ষণ না লুচির মতো ফুলে উঠছে, তত ক্ষণ খুন্তি দিয়ে নাড়তে থাকুন। দু’দিকই বাদামি না হওয়া পর্যন্ত ভাজতে থাকুন। তার পরে তুলে নিন।
৬। কিচেন টাওয়েলে রেখে মালপোয়াগুলির অতিরিক্ত তেল শুষে নিন। এ বার গরম মালপোয়াগুলিকে চিনির রসে ডুবিয়ে দিন। ১০মিনিট অবধি ভাল করে রসে ডুবিয়ে রাখুন।
সবশেষে, রাবড়ির সঙ্গে পরিবেশন করুন অসাধারণ এই মালপোয়া। পরিবেশনের আগে উপরে ড্রাই ফ্রুটস দিয়ে সাজিয়ে নিতে ভুলবেন না!
এই প্রতিবেদনটি 'আনন্দ উৎসব' ফিচারের অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy