কোভিড-১৯ বোধহয় পুজো না দেখে দেশ ছাড়বে না। কিন্তু, তাই বলে আমরা কি আর ঘর বন্ধ করে বাড়ি বসে থাকতে পারি!
দুর্গাপুজোর আনন্দকে পুরোপুরি উপভোগ করতে পেটপুজো না হলে কি চলে! তবে খাবার শুধু স্বাদু হলেই চলবে না, আজকের করোনা আবহে জোর দিতে হচ্ছে খাবারের পুষ্টিগুণের ওপরেও। ফিউশন ফুডের জাদুকর শেফ প্রদীপ রোজারিও-র স্বপ্নের রেস্তরাঁ স্বভূমি লাগোয়া কেকে’স ফিউশনের রেসিপিতে তেল থাকে যৎসামান্য। বেশির ভাগ ডিশই হয় স্যঁতে অথবা সামান্য তেল লাগিয়ে গ্রিল করে নেওয়া। সঙ্গে থাকে বিভিন্ন সব্জি। মেক্সিকান, ইটালিয়ান বা কন্টিনেন্টাল— সব কিছুতেই ভারতীয় পরশ।
না এখানেই পুষ্টির শেষ কথা নয়। শেফ প্রদীপ নানা মুখরোচক আমিষ পদের সঙ্গে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে দেন রংবেরঙের সব্জি। ব্রকোলি, লাল-হলুদ-সবুজ বেল পেপার অর্থাৎ ক্যাপসিকাম, বিন্স, গাজরের মতো সব্জি। এই সব সব্জির পুষ্টিকর দিকের কথা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। নানা ভিটামিন, মিনারেলসের সঙ্গে এই ধরনের এক্সোটিক সব্জি অ্যান্টি অক্সিডেন্টের খনি বললেও বাড়িয়ে বলা হয় না। অলিভ অয়েল আর মাখন হল কেকে’স ফিউশনের রান্নার মাধ্যম। খাঁটি ইটালিয়ান অলিভ অয়েলে চিকেন হোক বা চিংড়ি— তাতে কখনও থাকে রোজমেরি, থাইম, বেসিল, গন্ধরাজ লেবু বা বাতাবি লেবুর স্বাদ গন্ধ। প্রদীপ রোজারিও-র প্রতিটি রান্নাই নিজস্ব উদ্ভাবন। কোনও সেট মেনু কেকে’স ফিউশনে পাবেন না।
আরও পড়ুন: চ্যাপ্টার ২-এর প্রন থার্মিডোর, কীভাবে বানাবেন, হদিস রইল এখানে
মেক্সিকান, ইটালিয়ান বা কন্টিনেন্টাল— সব কিছুতেই ভারতীয় পরশ।
খাদ্য রসিকের চাহিদা জেনে নিয়ে ইটালিয়ান বা তাই খাবারের সঙ্গে আপন মনের মাধুরি মিশিয়ে চটপট বানিয়ে ফেলেন মনপসন্দ অতি সুস্বাদু ফিউশন ডিশ। স্বাদের পাশাপাশি সুন্দর শৈল্পিক ছোঁয়া দিয়ে অন্য রকম পাত্রে খাবার পরিবেশন করেন শেফ। ইনি আবার স্বপ্নেও বিভিন্ন রান্নার হদিস পান। আর হ্যাঁ, শেফ প্রদীপ, এ কথা জানাতে ভুললেন না যে, কোভিড পরিস্থিতিতে রেস্তরাঁর ১২৫টি আসন সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে ৬০-এ। এর ফলেই দূরত্ব বিধি মানা যাবে সহজেই। মেনুকার্ডের পরিবর্তে টেবিলে থাকা কিউ-আর কোড স্মার্ট ফোনে তুলে নিলেই পেয়ে যাবেন মেনু কার্ড। খাবার টেবিলে পৌঁছলে নিজেদেরই পরিবেশন করে নিতে হবে। এমন কিছু নিয়ম মেনে চললে শেফ স্পেশাল খাবার খাওয়ায় কোনও বাধা নেই।
আরও পড়ুন: চিনে খাবারের ঠেক চাউম্যানের ১০ বছর, পুজোয় থাকছে হরেক কুইজিন
রেস্তরাঁয় প্রবেশের আগে শরীরের তাপমাত্রা মেপে নেওয়ার ব্যবস্থায় কেউ কেউ আপতি জানালেও বেশির ভাগই তা করিয়ে হাত স্যানিটাইজ করে তবেই টেবিলে দূরত্ববিধি মেনে বসছেন—জানালেন কেকে’স ফিউশনের কর্ণধার কাম শেফ প্রদীপ রোজারিও। নির্ভয়ে রেস্তরাঁয় যান, নিয়ম মেনে চললে কোভিড-১৯ ভাইরাস কাছে ঘেঁষতে পারবে না মোটেও। তবে রেস্তরাঁয় যেতে না পারলেও দুঃখ নেই। শেফ প্রদীপ রোজারিও পাঠকদের জন্য নিজস্ব কয়েকটি রেসিপি জানিয়েছেন, সেগুলি ক্রমশ প্রকাশ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy