কলকাতার সঙ্গে প্যারিসের কিন্তু বেশ মিল। শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির মেলবন্ধনে আলোর মতো মায়াময় দুই শহর। তাহলে কলকাতায় কি নতুন কোনও অ্যামিউজমেন্ট পার্ক তৈরি হল ফ্রান্সের আদলে? উঁহু। একেবারেই নয়। বরং খানিকটা নিরিবিলিতে ফরাসি দেশের আস্বাদ উপভোগ করার নতুন ঠিকানা। অ্যাক্রোপলিস মলের কাছেই খুলে গিয়েছে নতুন এই ক্যাফে-রেস্তরাঁ। এতেই মিলবে ফরাসি খানার আস্বাদ।
এই ক্যাফের ভাবনা উর্বশী বসুর। তিনি অন্দরসজ্জাবিদ। কর্মসূত্রে বেশ কয়েকবার প্যারিসে গিয়েছিলেন। তা থেকেই এই ক্যাফের ভাবনা। ‘ওপেন কিচেন কনসেপ্ট’-এর এই ক্যাফে খুলে গিয়েছে নভেম্বরে। করোনা আবহে রেস্তরাঁ যেতে যাঁরা ভয় পাচ্ছেন, তাঁরা নির্দ্বিধায় চলে আসতে পারেন এই ক্যাফেতে। সেইনে নদীর ধারে বসে সূর্যাস্তের কথা মনে করাবে এই ক্যাফে। তাই নাম রাখা হয়েছে ‘লে ক্যাফে সেইনে’।
‘লে ক্যাফে সেইনে’-এর ইংলিশ ব্রেকফাস্ট।
শুধু ক্যাফে না বলে ক্যাফে-রেস্তরাঁ বলতেই পছন্দ করেন এখানকার কর্মীরাও। আসলে ক্যাফে বলতেই মনে হয়, শুধু স্ন্যাক্স কিংবা কফি। এ দিকে ‘লে ক্যাফে সেইনে’-তে ইউরোপের সব রকমের কফির সঙ্গে রয়েছে নানা রকম স্মুদি এবং শেকও। ফ্রান্সের নানা স্ন্যাক্স কিংবা জলখাবারের সঙ্গে ইউরোপের অন্য দেশের নানা পদ যেমন ‘ফিশ স্টেক’ বা ‘ফিশ কর্ডন ব্লু’ কিংবা ‘গ্রিলড টুনা’র মতো পদ মিলবে এখানে। এই ক্যাফে-রেস্তরাঁ পিছিয়ে নেই ডেজার্টেও। ‘লে ক্রেপেস উইদ চকলেট সস’-এর মতো খাঁটি ইউরোপীয় ডেজার্টও পাবেন এই খানেই। মুরগি, চিংড়ি, মাছ, ডিমের নানা রকম ফরাসি ও ইউরোপীয় স্ন্যাক্সও পাবেন এই রেস্তরাঁয়।ও
আরও পড়ুন: রেস্তরাঁর মতো ডেজার্ট বানান বাড়িতেই
এই ক্যাফের অন্দরসজ্জা ফ্রান্সের নদীর ধারে ক্যাফের ঢঙেই সাজিয়েছেন উর্বশী। ফরাসি গান এবং ইউরোপীয় ঘরানার মিউজিক এই ক্যাফের পরিবেশকে অন্যরকম করে তুলেছে। করোনা আবহে এই ক্যাফেতে মানা হচ্ছে সব রকম সাবধানতা। সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে, হাত স্যানিটাইজ করে, থার্মাল গানে তাপমাত্রা মেপে তবেই ক্যাফেতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। মেনুও এখন ডিজিটাল। কার্ড কিংবা অন্য পদ্ধতিতেও খাবার খেয়ে দাম মেটানোর ব্যবস্থা রয়েছে এই ক্যাফেতে। এখানকার কর্মীরাও মাস্ক পরে রয়েছেন। মাস্ক না পরলে রেস্তরাঁয় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। সবমিলে কড়া সতর্কতা মানা হচ্ছে এই ক্যাফেতে। এই ক্যাফে-রেস্তরাঁর একটা বিশেষ পদের রেসিপি রইল আনন্দবাজার ডিজিটালের পাঠকদের জন্য।
প্রন গাম্বাস
প্রণালী: প্রথমে চিংড়ির খোসা ছাড়িয়ে মাথা বাদ দিয়ে ভাল ভাবে পরিষ্কার করে দিখন মাস্টার্ড, তেল, নুন, গোলমরিচের গুঁড়ো মাখিয়ে রেখে দিতে হবে। এর পর ফ্রাইং প্যানে মাখন দিয়ে তার মধ্যে রসুন কুচি দিতে হবে। রসুনগুলো একটু বাদামি হলে ওর মধ্যে অল্প জল দিয়ে চিংড়িগুলি দিতে হবে। সামান্য নুন দিয়ে চিংড়িগুলো সেদ্ধ হওয়ার সময় দিতে হবে। এ বার এর মধ্যে পার্সলে পাতা কুচি, চিলি ফ্লেক্স মিশিয়ে যোগ করতে হবে পারমেসান চিজ। চিজটা গলে গেলেই অল্প লেবুর রস দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে প্রন গাম্বাস।
আরও পড়ুন: উৎসবের মরসুমে এ পানীয় একাই ১০০, বানাবেন কী ভাবে
এটি পরিবেশন করা হয় হার্ব রাইসের সঙ্গে। রইল প্রণালী...
প্রণালী: বাসমতী চাল দিয়ে ভাত বানিয়ে নিতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে চালটা যেন একটু শক্ত থাকে, ভেঙে না যায়। এর পর একটা প্যানে মাখন দিয়ে তার পর রসুন কুচি যোগ করতে হবে। রসুন হালকা বাদামি হলে এর পর অল্প চিলি ফ্লেক্স যোগ করতে হবে। তার মধ্যে ওই ভাতটা দিয়ে পার্সলে কুচি, বেসিল কুচি ও নুন দিয়ে ভাল করে নেড়েচেড়ে নিলেই তৈরি হার্ব রাইস। স্পেনের এই বিশেষ রান্না চেখে দেখুন তো কেমন লাগল!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy