ধাবা বললে প্রথমেই কী মনে পড়ে? বন্ধুরা বা বাড়ির সবাই মিলে লং ড্রাইভ। তারপর জম্পেশ একটা খাওয়া-দাওয়া। হাত চেটেপুটে খাওয়া যাকে বলে। যদিও করোনা আবহে বার কয়েক সেই হাত সাবান জলে ধুয়ে নিতে ভুলবেন না যেন। এ দিকে ধাবা মানেই গরমাগরম পদ সোজাসুজি পাতে পরিবেশন। আঙুল চাটতে চাটতে পুরনো বন্ধুর দিকে আড়চোখে তাকালে পুজো প্রেম হবে হবে কি না ভাবছেন, এমন সময় পাতে এসে পড়ল টিক্কা কাবাব। খাবারের চেয়ে বড় প্রেম আর কিছু হয় নাকি!
করোনা আবহে রেস্তরাঁর খাবারে খানিকটা লাগাম পড়লেও গরম খাবার খেতে কিন্তু বাধা নেই, এ কথা বলছেন চিকিৎসকরাও। পুজোর দিনে তাই একটু-আধটু বাইরের খাবার খাওয়া যেতেই পারে। শহর এবং শহর ছাড়িয়ে খানিকটা শহরতলির দিকেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে একটি ধাবা। ‘রং দে বাসন্তী’। তারা কিন্তু পুজোর মেনু নিয়ে প্রস্তুত। ইএম বাইপাস, ডায়মন্ড প্লাজা, মধ্যমগ্রাম, বেহালা, সোদপুর, সেক্টর ফাইভে রয়েছে এই ধাবার শাখা। কিন্তু করোনা আবহে এই রেস্তরাঁয় সব মেনে চলা হচ্ছে তো?
ধাবার প্রতিষ্ঠাতা-সিইও অভিমন্যু মাহেশ্বরী এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘অতিমারি পরিস্থিতিতে অনেক কিছু বদল হলেও ভাল খাবার পরিবেশন করার ইচ্ছেটায় কোনও বদল আনেনি। তাই সবার প্রিয় দিল্লি কা বাটার চিকেনের সঙ্গে তন্দুরি রুটি কিংবা এই ধাবার বিশেষ দম বিরিয়ানি চাখতে আসতেই পারেন।’’
আরও পড়ুন: পাবদা বাসন্তী থেকে চাইনিজ-কন্টিনেন্টাল, উত্তরের এ রেস্তরাঁয় বিপুল আয়োজন
পাতে থাকুক দম বিরিয়ানি।
তিনি জানান, সব রকম সুরক্ষাবিধি মেনেই ধাবায় কাজকর্ম চলছে। ক্রেতাদের মুখে মাস্ক আছে কি না তা দেখে নেওয়া হচ্ছে। স্যানিটাইজ করা হচ্ছে গোটা চত্বর। হাতেও স্যানিটাইজার দিয়ে তবেই ধাবায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
রং দে বাসন্তী ধাবার কিছু বিশেষ পদ ছাড়াও তাই পুজোর জন্য আরও কিছু নতুন পদের আয়োজন করা হয়েছে। করোনা আবহে স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই পদগুলি বানানো হচ্ছে।
১৭ অক্টোবর থেকে ২৭ অক্টোবর থাকছে নানারকম বিশেষ পদের আয়োজন। প্রায় সারা দিনই খোলা থাকছে এই ধাবা। প্রতিটি শাখাই খুলে যাচ্ছে দুপুর ১২টা থেকে।
আরও পড়ুন: ৭০০ বছরের পুরনো পদে বাঙালি ফিউশন, লাসানিয়া প্রন উইথ চিজি পেস্তো ধনিয়া সস
পুজোয় কী কী থাকছে?
রং দে বাসন্তী ধাবা স্পেশাল পনির টিক্কা।
বাসন্তী ডাল মাখানি, রং দে বাসন্তী ধাবা স্পেশাল পনির টিক্কা, পুরানি দিল্লি মির্চ মিট, দম বিরিয়ানি, কড়াই চিকেন-সহ আরও অনেক কিছু।
শুধু ধাবায় এলেই যে পছন্দের পদ খেতে পারবেন, এমনটা নয়। সুইগি বা জোম্যাটোর মাধ্যমে বাড়িতে বসেও অর্ডার করা যাবে এই পদ। তাহলে আর দেরি কেন?
ছবি সৌজন্য: রং দে বাসন্তী ধাবা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy