Best places to have delicious samosas in Kolkata during puja dgt
Kolkata Singara
মটন থেকে আলু-পেঁয়াজ, আবার চকোলেটও! নানা স্বাদেই বাজিমাত কলকাতার শিঙাড়ার
কোথায় পাওয়া যায় কেমন শিঙাড়া? কলকাতার সেই তেকোনা খাজানার হদিস নিয়ে হাজির এই প্রতিবেদন
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:৩৯
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৫
বাঙালির সকাল হোক বা সন্ধ্যে, শিঙাড়া থাকলে জমে যাবেই! চায়ের সঙ্গে 'টা' হিসেবে কিংবা বাড়িতে অতিথি এলে মিষ্টির সঙ্গে, রান্নায় আলুর মতোই যে কোনও জায়গায় খাপে খাপ শিঙাড়া।
০২১৫
এ হেন শিঙাড়ার রয়েছে হরেক রকমফের। কোথাও তাতে আলুর পুর, কোথাও আবার ডালের। রয়েছে মাংসের শিঙাড়াও।
০৩১৫
এমনকি আলুর পুরেও রয়েছে প্রকারভেদ। কোথাও পুর বানানো হয় কসুরি মেথি দিয়ে, তো কোথাও বাদাম দিয়ে। মাড়োয়ারি দোকানের শিঙাড়া আর বাঙালি দোকানের শিঙাড়াতেও কিন্তু রয়েছে ফারাক।
০৪১৫
কিন্তু কোথায় পাওয়া যায় কেমন শিঙাড়া? কলকাতার সেই তেকোনা খাজানার হদিস নিয়ে হাজির আনন্দবাজার অনলাইনের এই প্রতিবেদন।
০৫১৫
নিউ সৌরাষ্ট্র নিমকি হাউস, ভবানীপুর: এই দোকানের পেঁয়াজের শিঙাড়া খেতে ভালবাসেন না, এমন মানুষ পাওয়া ভার। বাইরেটা মুচমুচে আর ভিতরে আলু এবং পেঁয়াজের পুর। আহা, শুনলেই যেন জিভে জল!
০৬১৫
মহারাণী, লেক মার্কেট: শরৎ বসু রোডের এই বিখ্যাত দোকানের কচুরি তো বটেই, শিঙাড়াও কিন্তু বেশ জনপ্রিয়। সঙ্গে এঁদের চা স্পেশাল চা খেতে ভুলবেন না কিন্তু।
০৭১৫
রেলিশ, ভবানীপুর: ভবানীপুরের আর একটি বিখ্যাত শিঙাড়ার ঠিকানা। আলু খেতে যদি ভাল না বাসেন, তা হলে বরং ঢুঁ মারুন এই দোকানে। মুগ ডালের পুরের এইশিঙাড়া আপনার ভাল লাগবেই।
০৮১৫
আপনজন, কালীঘাট: ভাজাভুজির কথা উঠলেই মুখে মুখে ফেরে এই দোকানের নাম। তবে এখানে কিন্তু শিঙাড়া মানে মাংসের শিঙাড়া। পাঁঠার মাংসের কিমা করে তৈরি করা হয় পুর। বিক্রিতে একেবারে হট কেক!
০৯১৫
তামারা, পিপল ট্রি হোটেল, রাজারহাট: নোনতা শিঙাড়া তো অনেক খেয়েছেন। কিন্তু চকোলেট শিঙাড়া খেয়েছেন কি? এখানকার চকোলেট হেজেলনাট শিঙাড়া এক বার চেখে দেখবেন নাকি?
১০১৫
তিওয়ারি ব্রাদার্স, নিউ আলিপুর: সিঙারার কথা হলে এই দোকানের কথা উঠবেই। ঘি এবং আমচুর পাউডার দিয়ে তৈরি হয় পুর। এঁদের বাদ দিলে অসম্পূর্ণ থেকে যায় কলকাতার শিঙাড়ার ইতিকথা।
১১১৫
সুফিয়া, বড়বাজার: বড় বাজারের এই দোকানের মূল আকর্ষণ হল মাংসের শিঙাড়া। এবং তা হল গরুর মাংসের শিঙাড়া।
১২১৫
শ্রীকৃষ্ণ মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, ভবানীপুর: ভবানীপুরের এই দোকানের কচুরির মতো শিঙাড়াও বেশ সুস্বাদু। তবে মূল আকর্ষণ কিন্তু চাইনিজ শিঙাড়া। চাউমিন, সবজি, পনিরের মিলিজুলি পুরের এই শিঙাড়ার স্বাদই আলাদা!
১৩১৫
শর্মা স্ন্যাক্স, ভবানীপুর: কলকাতাবাসী সাধারণত এই দোকানের শিঙাড়াকে বম শিঙাড়া বা শিঙাড়া বম বলে ডাকে। উত্তর ভারতীয় কায়দায় তৈরি এই শিঙাড়ার পুরে জিরে গুঁড়োর ব্যবহার স্বাদ যেন আরও বাড়িয়ে দেয়। সঙ্গে এঁদের লস্যিও চেখে দেখতে পারেন।
১৪১৫
বাঙালি শিঙাড়ার দোকান: হরেক শিঙাড়ার গল্প তো হল। তাই বলে খাঁটি বাঙালি শিঙাড়ার স্বাদ তো আর ভুলে যাওয়া যায় না! যতই অন্য স্বাদের শিঙাড়া খান না কেন, বাঙালি শিঙাড়ার মহিমাই আলাদা।
১৫১৫
মটরশুঁটি, ফুলকপি, বাদাম, আবার কোথাও সবজি-- নানা সুস্বাদু পুরে তৈরি এই সব শিঙাড়া। মৌচাক, পুঁটিরাম, বলরাম মল্লিক ও রাধারমণ মল্লিক, ঘোষ অ্যান্ড সনস, ইত্যাদি নাম করা মিষ্টির দোকানের শিঙাড়ার কাছে কিন্তু হার মানবে অন্য সব কিছুই। এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।