ছবি: সংগৃহীত
আমেরিকার বুকে সচরাচর দেশীয় মেজাজে খোলা আকাশের নীচে প্যান্ডেল হয় না, কিন্তু ‘সংস্কৃতি’র এই থিমের সঠিক মর্যাদা দেবার জন্য সে রকমই একটা প্রচেষ্টা নিয়েছে। এই বছর ‘সংস্কৃতি’র পুজোর ২৬ বছর। এ বছরের থিম বাঁকুড়া বিষ্ণুপুরের টেরাকোটার কাজ। এর উপরেই পুরো প্যান্ডেলটি সাজানো হয়েছে।
প্রায় ৪০জন স্বেচ্ছাসেবী ২০০০ ঘন্টার উপর সময় ব্যয় করে তিন মাস ধরে কাজ করে এইরকম একটি থিম পুজো উপস্থাপনা করছে। ১৮ ফুট লম্বা ও ৬০ ফিট চওড়া ফ্রেমের উপর তুলে ধরা হচ্ছে এক টুকরো বাংলাকে। সম্পূর্ণভাবে জৈবিক জিনিস দিয়ে সাজসজ্জাগুলি তৈরি। আশা করা যায়, তিন দিনে ১০ হাজার-এর উপর লোক আমাদের এই পুজোর আনন্দে শামিল হবেন।
এ ছাড়াও আছে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ভারতবর্ষের সব জায়গার খাবারের দোকান, পুজোর কেনাকাটা করবার জন্য ৩০টিরও উপর বিভিন্ন দোকান। আর জি কর ঘটনার প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে থাকছে ‘স্ট্রিট প্লে’ এবং একটি ‘ওয়াল ডিসপ্লে’, থাকছে বই পাঠের আসরও। ধুনুচি নাচ ঢাক কাসর পুরোহিতের মন্ত্র সব মিলিয়ে একটি মন ভাল করার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে এই সংস্কৃতির প্রাঙ্গণে।
আমাদের নিজস্ব শিল্পীরা যেমন বিভিন্ন অনুষ্ঠান করছেন তেমনি আমাদের অনুষ্ঠানের শোভা বাড়াতে আসছেন বাংলার প্রসিদ্ধ ব্যান্ড ‘চন্দ্রবিন্দু’। পুজোর প্রতি আমাদের যে নস্টালজিয়া, সেই ভাব আবেগকে পরবর্তী প্রজন্ম ও আমেরিকার লোকজনের মধ্যে ছড়িয়ে দেবার জন্য ‘সংস্কৃতি’র এই প্রচেষ্টা একটি গঠনমূলক পদক্ষেপ।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy