ছবি সংগৃহিত
দেখনদারির যুগে প্রতিযোগিতা নয় বরং আন্তরিকতাকে পাথেয় করেই যাদের যাত্রা শুরু, পশ্চিম লন্ডনের বহুভাষী সেই সংগঠন, ‘প্রবাসী’ এখন শৈশব কাটিয়ে কৈশোরের পথে। কথায় বলে ১২ বছরে এক যুগ। দুর্গাপুজো আয়োজনের এক যুগ পেরিয়ে হান্সলোয় ‘প্রবাসী’র পুজো এবারে ১৩ বছরে পা দিল।
বিগত বছরগুলোতে ‘প্রবাসী’ যেমন আন্তরিকতায় আপামর জনগণকে কাছে টানতে পেরেছে, তেমনি পুজোর আনুষ্ঠানিকতাও জনমানসে দাগ কাটতে সক্ষম হয়েছে। প্রতি বছর দর্শনার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি এই সাক্ষ্যই বহন করে। গত বছর লন্ডনে প্রতিকূল আবহাওয়া উপেক্ষা করে প্রায় ১৫ হাজার দর্শনার্থী হান্সলোর এই পুজোয় অংশগ্রহণ করেছেন।
হান্সলো, হিথ্রোর অদূরে অবস্থিত। ভারত থেকে ইংল্যান্ডে আসা বহু ভারতীয়ই ‘প্রবাসী’র পুজোকেই নিজেদের সবচেয়ে কাছের পুজো বলে মনে করে থাকেন। এর একটি কারণ যদি হয় হান্সলোর ভৌগলিক অবস্থান, তবে আরেকটি প্রধান কারণ পুজোর আয়োজকদের আন্তরিকতা। বিগত এক যুগ ধরে হাজার হাজার দর্শনার্থী পুজোর চারদিন, দুবেলা করে ভোগ প্রসাদ গ্রহণ করে থাকেন। এদের মধ্যে বাঙালি, অবাঙালি-সহ বহু ভারতীয় তথা দক্ষিণ-এশিয় যেমন আছেন, তেমনি থাকেন বহু অভারতীয়ও। বস্তুত, দুর্গোৎসবের চারদিন, পুজোর জায়গা ‘হানিমুন ব্যাংকোয়েট হল’ হয়ে ওঠে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বহু ভাষাভাষী মানুষ এবং তাদের বিবিধ সংস্কৃতির মিলনমেলা।
পুজোর ক‘দিন ‘প্রবাসী’ শিশু-কিশোরদের নিয়ে যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করে তাতেও বিবিধতার মধ্যে মানবিকতার ঐক্যের মন্ত্রটিই জোরগলায় উচ্চারিত হয়ে থাকে।
সব মিলিয়ে বাঙালি সংস্কৃতির বিশ্বজনীনতা নিরূপণে নিরন্তর কাজ করে চলেছে ‘প্রবাসী’। সেই প্রয়াসে এক যুগ ধরে আলোকবর্তিকার ভূমিকা পালন করে চলেছেন জগজ্জননী মা দুর্গা।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy