পুজো হবে সপ্তাহান্তে। শুক্রবার ১৫ই অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে শুরু করে রবিবার ১৭ই দুপুর অবধি।
যে রাজ্যে পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের এক ‘গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন’, তারই উপত্যকায় চলুন আমার সাথে।ফিনিক্সের মরূদ্যানে বেশ কিছু বাঙালির অনুপ্রেরণায় দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে যে পুজো হয়ে আসছে, তার কথা অনেকেই হয়তো জানেন। তবে অতিমারির দাপটে গতবার খুব সংক্ষেপে দুর্গাপুজো করতে বাধ্য হয়েছিল যে আয়োজক দল, তারাই এবার অনেকটা আগের মতো পুজো করার সিদ্ধান্তে অনড়।
যস্মিন দেশে যদাচার। পুজো হবে সপ্তাহান্তে। শুক্রবার ১৫ই অক্টোবর সন্ধ্যা থেকে শুরু করে রবিবার ১৭ই দুপুর অবধি। এত অনিশ্চয়তার মধ্যেও কী ভাবে সব অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা বা আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে? জেনে নেওয়া যাক ‘বেঙ্গলি কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যারিজোনা’ (বিসিএএ)-র সভাপতি আবীর ভট্টাচার্যের কাছে। তিনি বলছেন, “এবার পুজোয় অংশ নিতে গেলে ভ্যাকসিন নেওয়া আবশ্যক।প্রত্যেক দর্শনার্থীকে ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রমাণ দেখাতে হবে। অভ্যন্তরীণ পরিবেশে মাস্ক পরতে হবে। প্রসাদ হবে আগের থেকে বাক্সবন্দি। খাবারও তাই। বাইরে বসার ও অপেক্ষা করার ব্যবস্থা থাকবে যাতে ভিতরে বেশি ভিড় না হয়। আর থাকবে পুজোর আনন্দ নেওয়ার পরিবেশ।”
পুজোর সময় ফিনিক্সের আবহাওয়া বেশ হিংসে করার মতো— না শীত না গরম। হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডা শহর থেকে পালিয়ে অনেকেই এখানে ‘স্নো-বার্ড’ হয়ে কিছুদিন কাটিয়ে যান।এমন একটা সুন্দর পরিবেশে এই পুজো শুরু হবে শুক্রবার সন্ধ্যায় ষষ্ঠীর বোধন দিয়ে। শনিবার হবে সপ্তমী-অষ্টমী আর রবিবার নবমী-দশমী হয়ে বিসর্জন।পুরো চারদিন ধরে সাবেকি পুজো না হলেও অনুষ্ঠানের খামতি কিন্তু কিছু থাকে না। মন্ত্রপাঠ থেকে শুরু করে ধুনুচি নাচ— সব হয়।
পুজোর সঙ্গে থাকবে জলসা। নানা বয়সের শিল্পীরা তাঁদের প্রতিভার নিদর্শন দেবেন। নাচ, গানবাজনা, নাটক— আরও কত কী!
বাঙালির পুজো মানেই পুরোমাত্রায় প্রসাদ আর খাবারের ব্যবস্থা থাকবে। ফল-মিষ্টি তো থাকবেই। সঙ্গে দুপুরের আর রাতের পুরো খাবার। নিরামিষ-আমিষ সব আয়োজনই থাকবে। পেট ভরে খাবেন সকলে।বাঙালি ক্লাবগুলোর মধ্যে বিসিএএ অন্তত খাবারের মেনুর ব্যাপারে কোনও ভুল করে না। কেউ বলতে পারবেন না, ‘‘আমি শুধু মাংসের হাড্ডি পেয়েছি!’’ বা ‘‘খেয়ে ঠিক পেট ভরল না!’’
প্রাক-অতিমারি সব পুজোতেই কেউ না কেউ গানের অনুষ্ঠান করে গিয়েছেন দেশ থেকে এসে। এবছর হাজার রকম বাধা-বিপত্তি-নিয়মকানুন মেনে কোনও শিল্পীকে আনা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এটাও ঠিক যে, একটানা এতদিন সামনাসামনি পুজো দেখার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হওয়ার পর যেটুকু অনুষ্ঠান করা সম্ভব হবে, তাতেই সকলে খুশি হবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। বাকিটা মায়ের ইচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy