লন্ডনের শারদোৎসবে ‘আশার আলো’। করোনা কালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে উৎসব। লন্ডনের দাতব্য সংস্থা ‘বেঙ্গল হেরিটেজ ফাউন্ডেশন’ কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবার্ষিকী উৎযাপন করছে। প্রতি বছরই লন্ডন শারদোৎসবের আয়োজন করে থাকে বেঙ্গল হেরিটেজ ফাউন্ডেশন। এ বার পরিস্থিতি প্রতিকূল হলেও, উৎসবের আয়োজনে কোনও খামতি রাখা হচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টায় শারদোৎসবে মেতেছেন প্রবাসী বাঙালিরা।
বেঙ্গল হেরিটেজ ফাউন্ডেশন বরাবরই ‘বড় মাপের’ দুর্গাপুজোর আয়োজন করে থাকে। সংস্থার সাধারণ সম্পাদক কৌশিক ভদ্র বলেন, “স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাহায্যে বিধি মেনে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। প্রত্যেক সদস্যকে আগে থেকে তাঁর বিবরণ নথিভুক্ত করতে হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: মারী, তোমার সঙ্গে আড়ি!
বেঙ্গল হেরিটেজ ফাউন্ডেশন সারা বছর ধরে সত্যজিৎ রায়ের নানা সৃষ্টির উপর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পরিকল্পা নিয়েছে। সে কথা মাথায় রেখে এ বছর লন্ডন শারদোৎসবের থিম 'রে অব হোপ' বা 'আশার আলো'। ট্রাস্টের সদস্য বিদিশা দত্ত জানান, “সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র-সহ তাঁর নানান সৃষ্টি আমাদের পুজোকে সমৃদ্ধ করেছে। পুজো ম্যাগাজিনটিও ‘রে অব হোপ’ এবং সত্যজিৎ রায়ের জীবনীকার অ্যান্ড্রু রবিনসনকে উৎসর্গ করা হয়েছে।”
এ বছর লন্ডন শারদোৎসবের থিম 'রে অব হোপ' বা 'আশার আলো'।
সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সঙ্গীত, বাদ্য, নৃত্য-সহ নানা ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা তাঁদের পরিবেশনা বাড়িতেই রেকর্ড করছেন। পরে তা দেখানো হচ্ছো পুজো মণ্ডপে। অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে জরুরি পরিষেবা বিভাগের যোদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছে শিশুরাও।
আরও পড়ুন: অতিমারির পুজোয় গঙ্গা বাঁচানোর ডাক ক্যামডেনের মণ্ডপে
যুক্তরাজ্য সরকারের নির্দেশনামা মেনে নিরাপত্তার কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অতিথিরা বাড়িতে বসেও ‘ডিজিটাল সেলিব্রেশন’-এর মাধ্যমে পুজোর আনন্দ নিতে পারবেন। শুধু তাই নয়, বাড়িতে বসে পৃথিবীর যে কোনও প্রান্ত থেকে লন্ডনের এই শারদোৎসব দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা। উৎসবের সহসভাপতি সুরঞ্জন সোম বললেন, “আমরা উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে আমাদের পুজো মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিচ্ছি। এমন কি দর্শনার্থীরা অঞ্জলিও দিতে পারবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy