সিরিয়ায় যদি অস্থায়ী সরকার তৈরি হয়, তা হলেও প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সেই সরকারে থাকবেন না মনত্রৌয়ে শান্তি আলোচনার শুরুতেই সাফ জানিয়ে দিলেন মার্কিন বিদেশসচিব জন কেরি। তিন বছর ধরে অশান্ত সিরিয়ায় সমাধানসূত্র খুঁজতে সুইৎজারল্যান্ডে শুরু হয়েছে শান্তি আলোচনা। নানা দেশের সঙ্গে সিরিয়ার সরকার এবং সে দেশের বিরোধী দলও সম্মেলনে যোগ দিয়েছে।
সেই অনুষ্ঠানের শুরুতেই একটি বিবৃতিতে কেরি বলেছেন, “বাস্তবের কথা ভাবতে হবে আমাদের। পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি। এমন কাউকে দিয়ে সিরিয়ার অস্থায়ী সরকার তৈরি করা যাবে না, যাঁর বিরুদ্ধে কোনও না কোনও পক্ষের আপত্তি রয়েছে।” এর পরে তিনি খোলাখুলিই বলেন, “এর অর্থ বাশার আল আসাদ সেই সরকারের অংশ হতে পারে না। এটা কল্পনাতীত। যে লোকটা নিজের দেশের মানুষকে নৃশংস ভাবে খুন করতে পারে, তাকে আর শাসন করার অধিকার দেওয়া যায় না।”
চুপ ছিলেন না সিরিয়ার বিদেশমন্ত্রী ওয়ালিদ মুয়াল্লেমও। কেরির মন্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে তিনি বলেন, যারা সিরিয়া প্রসঙ্গে এখানে কথা বলতে এসেছেন, তাদের অনেকের হাতেই রক্ত লেগে রয়েছে। তাঁর মতে, “নিজেকে রক্ষা করার জন্য যা করা উচিত, স্বাধীন দেশ হিসেবে সিরিয়া তা-ই করবে।” একই সঙ্গে তিনি সতর্ক করেন, “যত দিন সিরিয়ার মাটিতে সন্ত্রাস চলতে দেওয়া হবে, তত দিন দেশ অশান্তই থাকবে।”
প্রত্যেক বক্তার জন্য বরাদ্দ ছিল দশ মিনিট। মুয়াল্লেম সময় পার করে বেশ কিছু ক্ষণ বলেই চলেন। তাঁকে থামানোর চেষ্টা করেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব বান কি মুন। কিন্তু তাতে কান দেননি মুয়াল্লেম। উল্টে বলেন, “সিরিয়ায় আসলে কী হচ্ছে, সেটা জানানোর অধিকার আমার রয়েছে।” পরে মার্কিন বিদেশ দফতরের এক অফিসারকে বলেন, “একটা প্রক্রিয়া সবে শুরু হয়েছে। তাই ধৈর্য রাখা খুব প্রয়োজন।”