সামগ্রিক উন্নয়নের স্বার্থে মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব জরুরি। এই কথাটি বোঝাতে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের উদাহরণ দিলেন উচ্চপদস্থ মার্কিন আধিকারিক। জানালেন, পশ্চিমবঙ্গের বহু গ্রাম-পঞ্চায়েতে মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব বাড়ায় অনেক বেশি সমস্যা সামনে এসেছে। পরোক্ষে যা উন্নয়নের পথই প্রশস্ত করেছে।
আধিকারিকের নাম ক্যাথরিন এম রাসেল। মার্কিন প্রশাসনের বহু পদে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। তবে আপাতত মার্কিন সরকারি সংস্থা ‘গ্লোবাল উইমেন ইস্যু’-র অন্যতম প্রধান পদে আছেন। এই সংস্থার মূল কাজ মহিলাদের উন্নয়নের নীতি-প্রক্রিয়া ঠিক করা। তারই এক সভায় ক্যাথরিন বলেন, “ভারতের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের যে সব গ্রামের পঞ্চায়েতে মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব বেড়েছে, সেখানে পানীয় জলের পরিকাঠামো তৈরিতে অনেক বেশি বিনিয়োগ হয়েছে।” ক্যাথরিনের ব্যাখ্যা, পঞ্চায়েতে মহিলা প্রতিনিধিদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় পানীয় জলের মতো বহু বাস্তব সমস্যার ছবি বেশি উঠে এসেছে। তারই ফলশ্রুতি এই বিনিয়োগ। তিনি বলেন, “ভারতে যখন যাই, তখন এক মহিলার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল যিনি এক ধরনের প্রকল্প শুরু করেন। তাতে মহিলাদের ট্রাক থেকে শুরু করে নানা ধরনের গাড়ি চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো।” যে পরিবারের মাসিক আয় ছিল ৫০০০ টাকা, এই প্রকল্পের পরই সে পরিবারের মহিলারা প্রায় বারো হাজার টাকা পর্যন্ত মাসিক আয় করতে পারছেন। পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের মতো অন্যান্য দেশেরও প্রশাসন বা সরকারে মহিলাদের প্রতিনিধিত্ব বাড়লে উন্নয়নের পথই প্রশস্ত হবে, মনে করেন ক্যাথরিন।