আগামী সপ্তাহেই বিমান উধাও রহস্য নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করবে মালয়েশীয় সরকার। গত কাল এক মার্কিন চ্যানেলে এমনই জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাক। কিন্তু তাতে ক্ষোভ কমছে না এমএইচ ৩৭০-র যাত্রীদের পরিজনদের। অনুসন্ধান অভিযান নিয়ে তাঁদের আঁধারে রাখছে মালয়েশীয় সরকার, এই অভিযোগ তুলে গত কাল রাতে বেজিংয়ে মালয়েশীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। তড়িঘড়ি ওই এলাকার নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেয় পুলিশ।
তাতে সাময়িক ভাবে আত্মীয়দের সামলানো গেলেও তাঁদের ক্ষোভ যে এ ভাবে কমানো যাবে না তা বিলক্ষণ জানে রাজাক-প্রশাসন। এমএইচ ৩৭০ নিখোঁজ হওয়ার পর কেটে গিয়েছে ৪৫ দিন। এর মধ্যে নানা রকম তত্ত্ব ও ব্যাখ্যা উঠে এসেছে। কিন্তু এখনও বিমানটির কোনও ধ্বংসাবশেষের হদিস মেলেনি। এমনকী, এমন কোনও সূত্র যা কি না বিমানের শেষ পরিণতির ইঙ্গিত দিতে পারে তা-ও হাতে আসেনি তদন্তকারীদের। উপরন্তু জানা গিয়েছে, ভারত মহাসাগরের গভীরে এত দিন ব্লুফিন ২১ যে অনুসন্ধান চালাচ্ছিল, তা-ও শেষের পথে। এর পর কী হবে, তা নিয়ে বিস্তর জল্পনা চলছে। এক মার্কিন বিশেষজ্ঞের ধারণা, এর পর হয়তো আরও বড় এলাকায় তল্লাশি চালাবেন তদন্তকারীরা। কিন্তু সে ক্ষেত্রে তা শেষ হতে বছরখানেকও লেগে যেতে পারে। আর এই সময়সাপেক্ষ তদন্তেই ভরসা রাখতে পারছেন না যাত্রীদের পরিজনেরা। অভিযোগ, সম্পূর্ণ তথ্য তাঁদের জানানো হচ্ছে না।
নাজিব জানিয়েছেন, স্রেফ অনুসন্ধান অভিযান নিয়ে স্বচ্ছতা রাখতেই তার প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করা হবে। ইতিমধ্যে তা রাষ্ট্রপুঞ্জের আন্তর্জাতিক অসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার কাছে পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছে। তাতে কি এমএইচ ৩৭০ কে নিখোঁজ বলে ঘোষণা করে দেওয়া হবে? সরাসরি উত্তর না দিলেও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে পরিষ্কার, এখনই হাল ছাড়তে রাজি নন তিনি।