কব্জায় তেলের খনি, আইএসের নজরে এ বার ইরাকের কিরকুক

মসুল, কোবানের পর এ বার ইরাকের কিরকুক শহর দখল নিতে মরিয়া ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠী। মার্কিন সেনার দাবি, গত সপ্তাহেই ন্যাটোর বিমান হামলায় খতম হয়েছে আইএসের রাসায়নিক অস্ত্র বিশেষজ্ঞ আবু মালিক। তবু নাছোড়বান্দা জঙ্গিরা। উত্তর ইরাকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই শহরের একটা বড় অংশ জুড়ে গত কাল থেকেই শুরু হয়েছে সন্ত্রাসের রাজত্ব। আজ কিরকুকের খাবাজ এলাকার একটি তেলের খনিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মসুল শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:৩৮
Share:

মসুল, কোবানের পর এ বার ইরাকের কিরকুক শহর দখল নিতে মরিয়া ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠী। মার্কিন সেনার দাবি, গত সপ্তাহেই ন্যাটোর বিমান হামলায় খতম হয়েছে আইএসের রাসায়নিক অস্ত্র বিশেষজ্ঞ আবু মালিক। তবু নাছোড়বান্দা জঙ্গিরা। উত্তর ইরাকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই শহরের একটা বড় অংশ জুড়ে গত কাল থেকেই শুরু হয়েছে সন্ত্রাসের রাজত্ব। আজ কিরকুকের খাবাজ এলাকার একটি তেলের খনিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা। প্রশাসন সূত্রের খবর, তার পর থেকেই নিখোঁজ ঘটনাস্থলে থাকা ১৫ জন স্থানীয় শ্রমিক।

Advertisement

গত কাল থেকেই আইএসের হামলা ঠেকাতে তৎপর ইরাকি প্রশাসন ও পেশমেরগা বাহিনী। কিরকুক শহরেই জঙ্গিদের সঙ্গে আজ তাদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। বাহিনী সূত্রের খবর, জঙ্গি হামলায় আজ নিহত হয়েছেন এক কুর্দ কম্যান্ডার ও পাঁচ সেনা। জঙ্গিদের ধারাবাহিক বিস্ফোরণে শহর জুড়ে নিহতের সংখ্যা আরও ২৭। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, গত কাল মাঝ রাত থেকেই শুরু হয় বোমাবাজি। জঙ্গিদের হাতে মাঝারি থেকে শুরু করে বেশ কিছু ভারী অস্ত্রও রয়েছে বলে দাবি প্রশাসনের।

স্থানীয় সময় সকাল দশটা থেকেই শহর জুড়ে অনির্দিষ্ট কালের জন্য কার্ফু জারি করেছে প্রশাসন। এরই মধ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদর দফতরের সামনে একটি গাড়িবোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত পাঁচ জন। সেনার দাবি, শহরের একটি বিলাসবহুল হোটেলেও আত্মঘাতী হামলার ছক ছিল জঙ্গিদের। বাহিনীর তৎপরতায় সেই ছক বানচাল করা গেলেও, খাবাজের তেলের খনি এখনও জঙ্গিদের কবলে। জঙ্গি হামলায় বিপর্যস্ত রামাদি এবং বাগদাদ শহরও।

Advertisement

তেলের খনি দখল নেওয়ার ঘটনা অবশ্য এ বারই প্রথম নয়। দেশের উত্তরাঞ্চলে ক্ষমতা বাড়াতে গত বছরের মাঝামাঝি সময়েই এ রকম অন্তত চারটি ছোট ও মাঝারি তেলের খনির দখল নেয় জঙ্গিরা। প্রশাসনের দাবি, এই সব খনি থেকে অপরিশোধিত তেল, পেট্রোল প্রভৃতি বিক্রির অর্থ দিয়েই সংগঠন চালাচ্ছে আইএস।

কিরকুকে সাম্প্রতিক হামলা সেই সংগঠন বৃদ্ধিরই প্রমাণ বলে মনে করছে ইরাকি প্রশাসন। ন্যাটোর বিমান হামলায় গত ২৪ জানুয়ারি আইএসের প্রধান রাসায়নিক অস্ত্র বিশেষজ্ঞ আবু মালিকের মৃত্যু হয়েছে ঘোষণা করেও তাই স্বস্তিতে নেই ন্যাটো বাহিনী। ২০০৫-এ আল কায়দায় যোগ দেয় আবু। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, সাদ্দাম হুসেন জমানায় দেশের একটি অস্ত্র-কারখানাতেই তার হাতেখড়ি। আল কায়দা থেকে সরে আইএসে যোগ দেওয়ার পর রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি ও জোগানের সব দায়িত্ব তার উপরই এসে পড়ে বলে জানা গিয়েছে। ন্যাটোর সন্দেহ, কিরকুক জুড়ে যে হামলা শুরু করেছে জঙ্গিরা, তার পিছনেও মাথা হিসেবে কাজ করছিল আবু।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement