সারা পালিনের পোস্ট করা সেই ছবি। ছবি সৌজন্যে টুইটার।
রান্নাঘরের উঁচু সিঙ্কে হাত পৌঁছয় না ছ’বছরের ছোট্ট ছেলের। বাড়ির পোষা কুকুরের উপর দাঁড়িয়ে সিঙ্কের নাগাল পাওয়ার চেষ্টা করেছিল সে। আর নিজের ছোট ছেলের সেই ছবি ফেসবুকে ফলাও করে পোস্ট করে এ বার বিতর্কে জড়ালেন মার্কিন রাজনীতিবিদ সারা পালিন।
আলাস্কার এই প্রাক্তন গভর্নর সকলকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফেসবুকে সম্প্রতি একটি পোস্ট করেছেন। সঙ্গে তাঁর ছেলে ট্রিগের একটা ছবি। তাতে দেখা যাচ্ছে, রান্নাঘরে শুয়ে থাকা একটি কালো ল্যাব্রাডরের উপর দাঁড়িয়ে হাসছে ট্রিগ। তার হাত দু’টো সিঙ্কের উপরে রাখা। কালো কুকুরটির অবশ্য তাতে বিশেষ হেলদোল নেই। সে গুটিশুটি মেরে রান্নাঘরের মেঝেতে দিব্যি শুয়ে আছে। সারা ছবিটির ক্যাপশনে লিখেছেন, “২০১৫ সালে সমস্ত বাধার পাথর সরে গিয়ে যেন সকলের জন্য এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা খুলে যায়।” এই নির্দিষ্ট ছবিটির সঙ্গে হঠাৎ এই ক্যাপশন কেন? পরের লাইনেই তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন সারা। লিখেছেন, “ট্রিগ এখনই আমাকে মনে করিয়ে দিল। বাসন ধোয়ার জন্য ও সাহায্য করতে চায়। কিন্তু আমি তাতে খুব একটা সাড়া দিচ্ছিলাম না। মাঝ রাস্তায় একটা অলস কুকুরও শুয়েছিল। তাই ও নিজেই নিজের রাস্তা বের করে নিল।” সারার পাঁচ সন্তানের মধ্যে ট্রিগ সবচেয়ে ছোট। ডাউন সিনড্রোম রয়েছে তার।
সারার ফেসবুক পেজে ৪৫ লক্ষ ফলোয়ার আছেন। তার মধ্যে অন্তত ৫০ হাজার ফলোয়ার ছবিটি লাইকও করে ফেলেছেন। কিন্তু সেই সঙ্গেই অন্য একটি বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছেন ২০০৮ সালের এই রিপাবলিকান ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী। সারার ছবির প্রশংসা করে যেমন অনেকে কমেন্ট করেছেন। তেমন আবার প্রচুর মানুষ বিষয়টির সমালোচনা করেছেন। বিশেষত পশুপ্রেমীরা সারার এই কাণ্ডে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ। রিপাবলিকান নেত্রীর এই বিতর্কিত ছবি আবার অনেকে টুইটারেও পোস্ট করেছেন।
কেনেথ মেডোর নামে এক জন লিখেছেন, “তুমি তোমার রাজ্য আর দেশকে চালনা করতে চাও। কিন্তু নিজের সন্তানদেরই এটা শেখাতে পারোনি যে একটা পশুর পিঠে এ ভাবে দাঁড়াতে নেই?” অ্যামি পেজান্ট নামে অপর এক জন আবার লিখেছেন, “কোনও শিশুকেই এ ভাবে একটা কুকুরের উপর দাঁড়াতে দেওয়া উচিত নয়।” তবে এর উল্টো ছবিও আছে। লিন্ডা কনলে নামে এক ফলোয়ার লিখেছেন, “ট্রিগ কোনও দোষ করেনি।”
সারার এই ছবি বিতর্কের সঙ্গে অনেকেই মিট রোমনির মিল খুঁজে পেয়েছেন। ২০১২ সালে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মিটও এক বার কুকুর নিয়ে প্রবল বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। নিজের গাড়ির ছাদে একটি বাক্সের মধ্যে কুকুরকে বেঁধে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। বহু বছর পরে সেই ছবি প্রকাশিত হলে দেশ জুড়ে নিন্দার মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। ১৯৮৩ সালের সেই ঘটনার জন্য গত বার নির্বাচনী প্রচারের সময় সংবাদমাধ্যম বারবার কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিল মিটকে।