আট জনকে মেরে আত্মঘাতী খুনি

অস্ট্রেলিয়ার কেয়ার্ন্সের পর কানাডার এডমন্টন। দক্ষিণ এডমন্টনের একটি বাড়ি থেকে সোমবার পাওয়া যায় এক মহিলার গুলিবিদ্ধ দেহ। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই উত্তর-পূর্ব এডমন্টনের একটি বাড়িতে মিলল দুই শিশু-সহ মোট সাত জনের গুলিবিদ্ধ দেহ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

এডমন্টন শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:৩৬
Share:

অস্ট্রেলিয়ার কেয়ার্ন্সের পর কানাডার এডমন্টন। দক্ষিণ এডমন্টনের একটি বাড়ি থেকে সোমবার পাওয়া যায় এক মহিলার গুলিবিদ্ধ দেহ। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই উত্তর-পূর্ব এডমন্টনের একটি বাড়িতে মিলল দুই শিশু-সহ মোট সাত জনের গুলিবিদ্ধ দেহ।

Advertisement

পুলিশের অনুমান, এই দুই হত্যাকাণ্ডের পিছনে রয়েছে একই আততায়ী। কাল সকালে এডমন্টনের একটি রেস্তোরাঁ থেকে সন্দেহভাজনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের সন্দেহ, এই হত্যালীলা চালিয়ে আত্মহত্যা করেছে ওই আততায়ী।

এডমন্টনের পুলিশ অফিসার রড নেকট জানান, খুনের ধরন দেখে মনে হচ্ছে ঠান্ডা মাথায় খুন করেছে আততায়ী। আততায়ীর পরিচয় প্রকাশ করতে চায়নি এডমন্টন পুলিশ। তবে এর আগেও বহু বার বিভিন্ন অপরাধ করে বেরিয়েছে ওই আততায়ী। ১৯৮৭ সালের সেপ্টেম্বরে কোনও এক গুরুতর অপরাধে পুলিশের খাতায় উঠে এসেছিল ওই আততায়ীর নাম।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সন্ধে সাতটা নাগাদ সিন্ডি ডুয়ং (৩৭) নামে এক মহিলার গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয় দক্ষিণ এডমন্টনে তাঁর বাড়ি থেকে। প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই আততায়ী সিন্ডির বাড়িতে ঢুকেছিল। এর পর সে গুলি করেই পালিয়ে যায়। ঠিক এর আধ ঘণ্টা পর খবর পেয়ে পুলিশ উত্তর-পূর্ব এডমন্টন এলাকায় একটি বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যায়। প্রথমে সেখানে কিছু না পেয়ে ফিরে যায় তারা। পরে টহলরত পুলিশ আবার ওই বাড়িতে গিয়ে তিন জন মহিলা, দু’জন পুরুষ এবং দুই শিশুর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার করে।

গত কাল সকালে একটি রেস্তোরাঁয় যায় গোয়েন্দা দলটি। সেখানে গিয়ে এক জনের গুলিবিদ্ধ দেহ পায়। ওই গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির দেহ দেখেই তাকে খুনি বলে শনাক্ত করা হয়। তবে খুনির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। আগামী কাল হতদের অটোপ্সি রিপোর্ট আসার কথা। এক প্রত্যক্ষদর্শী মহিলা বলেন, “এ দিন বেশ কয়েক জন পুলিশ অফিসার রেস্তোরাঁর বাইরে একটি মেগাফোনে কাউকে বেরিয়ে আসার নির্দেশ দিচ্ছিলেন। পরে গিয়ে ওই ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।”

তদন্তে নেমে পুলিশ আততায়ীর পরিচয় জানতে পারে। ওই অপরাধী মানসিক অবসাদগ্রস্ত ছিল বলেও জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, যে বন্দুক দিয়ে ওই হত্যালীলা চালানো হয়েছে, তা ২০০৬ সালে সারে থেকে চুরি করা হয়েছিল। এ দিন নেকট জানান, ১৯৫৬ সালে ঠিক এই কায়দায় একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটেছিল। তাতে ছ’জন নিহত হয়েছিলেন। তবে সোমবারের হত্যাকাণ্ডই এ ধরনের সব থেকে বড় ঘটনা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement