Nimisha Priya Death Sentence

ইয়েমেনে এক মাসের মধ্যে ভারতীয় তরুণীর ফাঁসি! পরিবারকে সহযোগিতার আশ্বাস বিদেশ মন্ত্রকের

ইয়েমেনি এক নাগরিককে হত্যার দায়ে ২০১৭ সাল থেকে জেলবন্দি নিমিশা। এই সাত বছরে পরিবারের তরফে তাঁকে বাঁচানোর সব রকম চেষ্টা করা হয়েছে। প্রয়োজন মতো সাহায্য করেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকও।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১১:১৩
Share:

নিমিশা প্রিয়া। — ফাইল চিত্র।

ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সিলমোহর দিলেন ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট রাশাদ আল-আলিমি। সাত বছর ইয়েমেনের জেলে বন্দি অভিবাসী তরুণীর জীবনসংশয় হয়ে যাওয়ায় বিচলিত দেশ। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রকও।

Advertisement

ইয়েমেনি নাগরিক তালাল আব্দো মাহদিকে হত্যার দায়ে ২০১৭ সাল থেকে জেলবন্দি রয়েছেন নিমিশা। এই সাত বছরে পরিবারের তরফে ৩৬ বছর বয়সি নিমিশাকে বাঁচানোর সব রকম চেষ্টা করা হয়েছে। প্রয়োজন মতো সাহায্য করেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকও। কিন্তু লাভ হয়নি। ২০১৮ সালে ইয়েমেনের আদালত তাঁর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করে। এ বার সেই রায়েই সিলমোহর পড়ল। ‘অস্বাভাবিক’ কিছু না ঘটলে আগামী এক মাসের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে বলে জানা গিয়েছে।

কেরলের পালাক্কড় জেলার বাসিন্দা নিমিশা পেশায় নার্স ছিলেন। স্বামী এবং মেয়েকে নিয়ে থাকতেন ইয়েমেনে। ২০০৮ সাল থেকে ইয়েমেনের এক হাসপাতালে কাজ করতেন নিমিশা। ২০১৪ সালে তাঁর স্বামী এবং ১১ বছরের কন্যা ভারতে ফিরে এলেও তিনি সে দেশেই থেকে যান। স্বপ্ন ছিল নিজের ক্লিনিক খোলা। ওই বছরই মাহদির সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর। মাহদি তাঁকে নতুন ক্লিনিক খুলতে সাহায্য করবেন বলে আশ্বাস দেন। ২০১৫ সালে দু’জন মিলে ক্লিনিকও খোলেন। এর পর থেকেই শুরু হয় দুই অংশীদারের মতবিরোধ। অভিযোগ, এক পর্যায়ে নিমিশার পাসপোর্টও কেড়ে নেন মাহদি। একাধিক বার পুলিশের দ্বারস্থ হলেও লাভ হয়নি।

Advertisement

অভিযোগ, ২০১৭ সালের ২৫ জুলাই মাহদিকে ঘুমের ইঞ্জেকশন দেন ওই নার্স। নিমিশার দাবি, মাহদিকে ঘুম পাড়িয়ে নিজের পাসপোর্ট পুনরুদ্ধার করাই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। কিন্তু ওভারডোজ়ের কারণে মৃত্যু হয় মাহদির। এর পর অন্য এক জনের সাহায্য নিয়ে মাহদির দেহ টুকরো টুকরো করে কেটে জলের ট্যাঙ্কে ফেলে দেন তিনি। ইয়েমেন থেকে পালানোর সময় ধরা পড়ে যান। ২০১৮ সালে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ইয়েমেনের আদালত। মেয়েকে বাঁচানোর সব রকম চেষ্টা করেন নিমিশার মা প্রেমা কুমারী। আইনজীবীর ব্যবস্থা করে দেয় ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। কিন্তু গত বছর নিমিশার সাজা মকুবের শেষ আবেদনও খারিজ হয়ে যায় সে দেশের সুপ্রিম কোর্টে।

মঙ্গলবার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘‘গোটা পরিস্থিতি নিয়ে ভারত সরকার ওয়াকিবহাল। নিমিশার পরিবারও সব রকম চেষ্টা করেছে। সরকার যথাসাধ্য সাহায্য করছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement