Xi Jingping

মস্কোয় শি, কিভে সফর কিশিদার

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রায় ১৩ মাস অতিক্রান্ত। রাষ্ট্রপুঞ্জে এই যুদ্ধ প্রসঙ্গে মানবাধিকার সংক্রান্ত প্রস্তাবনায় এত দিন ভারতের মতোই মস্কোর বিরুদ্ধে ভোটদানে বিরত থেকেছে বেজিং।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

টোকিয়ো শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২৩ ০৬:৪৭
Share:

রাশিয়ায় পৌঁছনোর পরে পুতিনের সঙ্গে জিনপিং। মস্কোয়। রয়টার্স

চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং মস্কো পৌঁছেছেন গতকাল। তিন দিনের এই রাশিয়া সফরে সে দেশের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা। অন্য দিকে, মঙ্গলবারেই ইউক্রেনের কিভে পৌঁছনোর বার্তা দিলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিয়ো কিশিদা।

Advertisement

রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে যে ভাবে আন্তর্জাতিক কূটনীতি আবর্তিত হচ্ছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে তা একান্ত লক্ষ্যণীয়। আগামী দিনে বিভিন্ন দেশগুলির কূটনৈতিক পদক্ষেপ কী হতে পারে তা তাদের বর্তমান অবস্থান থেকে আন্দাজ পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

শি-এর মস্কো সফরের ঠিক আগের দিনেই পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত। বলা হয়েছিল, আদালতের এক্তিয়ারভুক্ত যে কোনও দেশে পা রাখলেই পুতিনকে গ্রেফতার করা হবে। পুতিন সেই বার্তা উড়িয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি চিনেও যে সেই বার্তার প্রভাব পড়েনি, শি-এর মস্কো সফরে তা পরিষ্কার হয়ে গেল।

Advertisement

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রায় ১৩ মাস অতিক্রান্ত। রাষ্ট্রপুঞ্জে এই যুদ্ধ প্রসঙ্গে মানবাধিকার সংক্রান্ত প্রস্তাবনায় এত দিন ভারতের মতোই মস্কোর বিরুদ্ধে ভোটদানে বিরত থেকেছে বেজিং। কিন্তু সোমবার তিন দিনের মস্কো সফরে গিয়ে শি পরিস্কার করে দিলেন যে তাঁরা রাশিয়ার পাশেই রয়েছেন। যদিও বেজিংয়ের দাবি, চিনের অবস্থান নিরপেক্ষ। শান্তি স্থাপনের উদ্দেশেই শি-এর মস্কোযাত্রা।

আমেরিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলির সন্দেহ, গোপনে যুদ্ধাস্ত্রের জোগান দিয়ে রাশিয়ার হাত শক্ত করতে চাইছে চিন। এখনও তার প্রমাণ মেলেনি বলে জানিয়েছে ইউক্রেন।

এই যুদ্ধে ইউক্রেনের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী। তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে গৃহীত শান্তিনীতির জন্য কোনও রকম অস্ত্র সরবরাহ করবে না টোকিয়ো।

আজ কিশিদাকে পোল্যান্ড থেকে ইউক্রেনের ট্রেন ধরতে দেখা গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রের খবর, কিশিদা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সঙ্গে কিভে বৈঠক করবেন। জ়েলেনস্কির নেতৃত্বে ১৩ মাস লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য ইউক্রেনের মানুষকে কুর্নিশ জানাবেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী।

শুধু জাপানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নয়, জি-৭ গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান হিসেবেও কিশিদার এই কিভ সফর। সম্প্রতি দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিন যে ভাবে আধিপত্য কায়েমের চেষ্টা করছে তা ভাল চোখে দেখছে না জাপান। সম্প্রতি জাপান সংলগ্ন অঞ্চলে রাশিয়ার সঙ্গে মিলে সেনা মহড়া চালিয়েছে চিন। তাইওয়ানের উপরে চিনের আগ্রাসনেও বিপদবার্তা দেখছে জাপান। ইউক্রেনের মাটিতে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাপান যে আমেরিকা, ইউরোপের দেশগুলির পাশেই, এই সফরে চিনকে তারা সেই বার্তাই দিতে চায় জাপান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement