জি-২০ আসরে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে হাসিমুখে হাত মিলিয়েছিলেন চিনা প্রেসি়ডেন্ট শি চিনফিং। পিটিআইয়ের তোলা ফাইল চিত্র।
চিঁড়ে ভিজল না করমর্দনেও। হামবুর্গে জি-২০ আসরে গত কালই নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে হাসিমুখে হাত মিলিয়েছিলেন চিনা প্রেসি়ডেন্ট শি চিনফিং। আশা ছিল, এতে ডোকা লা নিয়ে তৈরি হওয়া উত্তপ্ত পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হবে। কিন্তু কোনও রকম কার্যকারণ ছাড়াই ভারতে থাকাকালীন চিনা নাগরিকদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা নির্দেশিকা জারি করে সেই আশায় জল ঢেলে দিল বেজিং।
শুক্রবার নয়াদিল্লিতে অবস্থিত চিনা দূতাবাসের দেওয়া এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতে বেড়াতে আসা কিংবা কর্মরত চিনা নাগরিকরা যেন সাবধানে থাকেন। ব্যক্তিগত নিরাপত্তার পাশাপাশি আশপাশের পরিস্থিতির দিকেও কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে তাঁদের। অন্তত এক মাস অযথা ঘোরাঘুরি নয়। কোথাও যেতে হলে নিজেদের পরিবার কিংবা বন্ধুদের আগাম তা জানিয়ে রাখার কথাও বলা হয়েছে এই নির্দেশিকায়।
কিন্তু কেন? ভারতে চিনা নাগরিকদের নিশানা করা হচ্ছে বলে এখনও কোনও খবর নেই। তাই সরাসরি মুখ না খুললেও বিষয়টিকে একেবারেই ভাল ভাবে নিচ্ছে না নয়াদিল্লি। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের দাবি, ‘‘সতর্কতা নয়, উদ্ভূত পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এ নেহাতই পরামর্শ।’’ তবু ভারতীয় কূটনীতিকদের একাংশ বলছেন, বেজিংয়ের এই চাল শুধুই নয়াদিল্লিকে চাপে রাখতে।
টানাপড়েন তুঙ্গে সিকিম সীমান্তেও। তিন সপ্তাহ ধরে সেখানে ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে দু’দেশের সেনা। ডোকা লা থেকে সেনা সরানো নিয়ে প্রায় রোজই ভারতকে হুমকি দিচ্ছে চিন। এ দিকে, ঘাঁটিতে অনড় ভারতীয় সেনাও। গত কয়েক দিনে সেখানে বরং জমায়েত আরও বেড়েছে। হামবুর্গে মোদী-চিনফিংয়ের সৌজন্য সাক্ষাৎ ঘিরে তাই একটা আশার আলো দেখা গিয়েছিল। চিনা নাগরিকদদের জন্য ভারতে নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করে ফের অস্বস্তি বাড়াল বেজিং।