তালিবান যোদ্ধা। ফাইল চিত্র।
আফগানিস্তানের ঘড় প্রদেশের এক তরুণী বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিলেন। সেই ‘অপরাধে’ তাঁকে প্রকাশ্যে পাথর ছুড়ে মারার নিদান দেয় সে দেশের তালিবান প্রশাসন। কিন্তু তার আগেই আত্মহননের পথ বেছে নিলেন সেই তরুণী। বাড়ি থেকেই ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়। যে যুবকের সঙ্গে ওই তরুণী পালিয়ে গিয়েছিলেন, সেই যুবককেও গত ১৩ অক্টোবর আটক করেছে পুলিশ।
আফগানিস্তানের প্রাদেশিক সরকারের এক আধিকারিক সে দেশের সংবাদমাধ্যমকে জানান, দেশে প্রয়োজনীয় মহিলা সংশোধনাগার নেই। তাই ওই তরুণীকে প্রকাশ্য রাস্তায় পাথর ছুড়ে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই আধিকারিক জানান, দেশের বিভিন্ন প্রদেশেই অন্য পুরুষের সঙ্গে মেয়েদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা বাড়ছে। এই প্রবণতা কমাতেই অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার কথা ভেবেছে তালিবান প্রশাসন।
২০২১ সালের অগস্ট মাসে তালিবান আফগানিস্তানের শাসন ক্ষমতায় আসার পরেই সে দেশে মেয়েদের উপর নানা নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সে দেশের প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ষষ্ঠ শ্রেণির পর মেয়েদের লেখাপড়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম-সহ যে যে ক্ষেত্রে আফগান মহিলারা কাজ করতেন, সেই সেই ক্ষেত্রে মেয়েদের নিযুক্ত করায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আফগানিস্তানে মেয়েদের উপর অত্যাচার এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা নিয়ে আগেও সরব হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।