গ্রাফিক: তিয়াসা দাস
আমেরিকাকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন দেওয়ার পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর টুইটার হ্যান্ডল ফলো করেছিল হোয়াইট হাউস। কিন্তু তার পর তিন সপ্তাহও কাটল না। মোদীর টুইটার আনফলো করে দিল হোয়াইট হাউস। তার সঙ্গে ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী মোদির অফিস এবং ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাসকেও আনফলো করে দিয়েছে মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের কার্যালয় তথা বাসভবন।
হোয়াইট হাউসের টুইটার হ্যান্ডলের ফলোয়ার সংখ্যা দু’কোটি ২০ লক্ষেরও বেশি। তবে হোয়াইট হাউস সাধারণত অন্য কোনও দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে ফলো করে না। কিন্তু গত ১০ এপ্রিল থেকে কিছুটা নজিরবিহীন ভাবেই নরেন্দ্র মোদীর ব্যক্তিগত এবং প্রধানমন্ত্রীর অফিসের টুইটার হ্যান্ডল ফলো করে হোয়াইট হাউস। তার পর এই সব অ্যাকাউন্টকেই ‘ফলোইং’-এর তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিল হোয়াইট হাউস।
কেনই বা ফলো এবং এখন কেনই বা ‘আনফলো’? মার্কিন মুলুকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক হওয়ার পর ভারতের কাছে করোনার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন চেয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ভারত এই ওষুধ না দিলে ফল ভাল হবে না বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তার পর ভারত সেই ওষুধ আমেরিকায় পাঠিয়েছিল গত ৮ এপ্রিল। ওষুধ পৌঁছতেই ভারতবাসী এবং প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আর তার দু’দিন পরে মোদী, প্রধানমন্ত্রীর অফিস এবং অন্যান্য ভারতীয় অ্যাকাউন্টগুলি ফলো করতে শুরু করে হোয়াইট হাউস।
আরও পড়ুন: অভিনেতা ইরফান খান প্রয়াত, বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর
কিন্তু কেন ‘আনফলো’ করা হয়েছে, তা নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি হোয়াইট হাউস। তবে পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, যেখানে কোনও দেশের রাষ্ট্রনেতাকেই ফলো করে না হোয়াইট হাউস, সেখানে আলাদা করে মোদীকে ফলো করা হোয়াইট হাউসের কাছে বিসদৃশ। অন্য অনেক দেশেই এ নিয়ে ভুল বার্তা যেতে পারে। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন পাওয়ার পর ব্যাতিক্রমধর্মী ভাবে ফলো করা হলেও পরে এই বিষয়টি মাথায় রেখেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ফলো তালিকা থেকে, মত কূটনৈতিকদের।
আরও পড়ুন: সোমবার থেকে গ্রিন জোনে জেলার মধ্যে ২০ যাত্রী নিয়ে চলবে বাস: মুখ্যমন্ত্রী
হোয়াইট হাউস মোট ১৯টি ভারতীয় টুইটার হ্যান্ডল ফলো করত। সেখান থেকে মোট ৬টি অ্যাকাউন্ট বাদ যাওয়ার পর সেই সংখ্যা কমে হল ১৩।