এফবিআই যাই বলুক না কেন, মানতে নারাজ হোয়াইট হাউস। বারাক ওবামার নির্দেশেই ট্রাম্প টাওয়ারে আ়ড়ি পাতা হয়েছিল বলে আজ ফের সুর চড়ালেন হোয়াইট হাউসের মিডিয়া সচিব শন স্পাইসার। তাঁর কথায়, ‘‘তদন্তের এই তো সবে শুরু। প্রথম অধ্যায়ে কী আর এমন দেখলেন! অপেক্ষা করুন, আগামী দিনে আরও বড় চমক রয়েছে আপনাদের জন্য।’’ কেমন সেই চমক? উত্তর পেতে মুখিয়ে ছিলেন সাংবাদিকরা। কিন্তু কোথায় কী! প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতোই মুখে কুলুপ এঁটে রইলেন স্পাইসার। শুধু জানিয়ে দিলেন— ওবামার কাছে কিছুতেই ক্ষমা চাইবেন না প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্পের অভিযোগ ‘হাস্যকর এবং ভিত্তিহীন’ বলে গত কাল সেনেট কমিটিকে জানিয়েছিলেন মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক রজার্সও। কিন্তু তার পরেও হোয়াইট হাউসের মিডিয়া সচিব এতটা জোর পাচ্ছেন কোথা থেকে? উত্তর খুঁজতে গিয়ে কালকের শুনানির প্রসঙ্গই টানছেন মার্কিন কূটনীতিকদের একাংশ। এফবিআই ডিরেক্টর জেমস কোমি ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক রজার্সকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কংগ্রেসের হাউস ইন্টেলিজেন্স কমিটির চেয়ারম্যান ডেভিন নানিস বলেন, ‘‘সরাসরি ফোনে আড়ি পাতার প্রমাণ মেলেনি। কিন্তু অন্য কোনও ভাবে যে নজরদারি চালানো হয়নি, এখনই তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।’’
এই ‘অনিশ্চয়তাকেই’ তুরুপের তাস করতে চাইছে হোয়াইট হাউস। যদিও ট্রাম্পের রাশিয়া-যোগ নিয়ে অভিযোগ থাকছেই। সেনেট কমিটিকে কোমি গত কালই জানান, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে এফবিআই। পুতিন প্রশাসনের সঙ্গে ট্রাম্প শিবিরের যোগাযোগ ছিল কি না, তা-ও তদন্ত হচ্ছে। আজ এ নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে স্পাইসার বলেন, ‘‘বাস্তবে যার অস্তিত্ব নেই, সেটাই খোঁজা চলছে। পুরোটাই হাস্যকর।’’