এই গোলককে ঘিরেই রহস্য বেড়েছিল। ছবি: সংগৃহীত।
সমুদ্রের তীরে বিশালাকার একটি গোলক ভেসে এসেছিল। যা নিয়ে রহস্য এবং কৌতূহলের পারদ চড়ছিল। পাশাপাশি বাড়ছিল আতঙ্কও। জল্পনা চলছিল, ওটা কি গডজ়িলার ডিম? না কি কোনও গুপ্তচর বেলুনের ধ্বংসাবশেষ? গুপ্তচর বেলুনের তত্ত্বটা আরও জোরালো হতে শুরু করেছিল কলম্বিয়া, আলাস্কা এবং আমেরিকার কয়েকটি জায়গায় ‘চিনা গুপ্তচর বেলুনের’ ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর।
‘রহস্যময়’ ওই গোলকটির আশপাশ ঘিরে ফেলা হয়। দিনরাত পাহারার ব্যবস্থা করে প্রশাসন। বোমা বিশেষজ্ঞদের ডাকা হয়। শুধু তাই-ই নয়, কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে আশপাশের এলাকা পুরোপুরি খালি করে দেওয়া হয়। হামামাৎসু শহরের এনশু সৈকতে ওই গোলক ভেসে এসে জনমানসে যে ভয়ের আবহ তৈরি করেছিল, তা অবশেষে কাটল।
নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার যে ধাতব গোলকটি ভেসে এসেছিল, সেটি আসলে এক ধরনের ‘মেরিন ইক্যুইপমেন্ট’। দেড় মিটার ব্যাসের এই গোলকে কোনও বিস্ফোরক আছে কি না নিশ্চিত হতে সেটির এক্সরে করা হয়েছিল। তার পরই জানানো হয় যে, এই গোলকটি নিছকই একটি বয়া! যা জাহাজ চালকদের দিক নির্দেশের জন্য জলে ভাসানো থাকে। কোনও ভাবে সেটি ভেসে এসেছে এনশু সৈকতে।
আমেরিকার আকাশে সাদা বেলুনের মতো রহস্যময় জিনিস উড়তে দেখা গিয়েছিল দিন কয়েক আগে। আমেরিকার বিমানবাহিনী বেলুনের মতো সেই বস্তুটিকে গুলি করে নামায়। আমেরিকা দাবি করে, এটি চিনের ‘গুপ্তচর’ বেলুন। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে চিন। সেই ঘটনার মধ্যেই জাপানের এনশু সৈকতে ভেসে আসা গোলক জাপানবাসীদের মনে একটা ধাঁধার সৃষ্টি করেছিল। সেই ধাঁধার সমাধান হল অবশেষে।