International News

শুধু কালোদের হত্যা করি, পুলিশ অফিসারের মন্তব্য আমেরিকায়

আটলান্টা জার্নাল কনস্টিটিউশন সূত্রে খবর, অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার গ্রেগ অ্যাবট তাঁর কাজ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়ে দফতরকে চিঠি পাঠিয়েছেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৭:৩১
Share:

এই সেই পুলিশ অফিসার। ছবি সৌজন্য: ফেসবুক।

‘আমরা শুধু কৃষ্ণাঙ্গেদেরই হত্যা করি’।

Advertisement

এক বছর আগে ড্যাশক্যামে ধরা পড়েছিল জর্জিয়ার এক পুলিশ অফিসারের এই কথা। ড্যাশক্যামের ভিডিওতে যে ফুটেজ ধরা পড়েছে তাতে দেখা যায়, অফিসার গ্রেগ অ্যাবট এক মহিলার গাড়ি দাঁড় করিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করছেন। মহিলা কিছু একটা বলতে গেলে তাঁকে থামিয়ে দেন। বলেন, “আপনি কৃষ্ণাঙ্গ নন, ভয় নেই। মনে রাখবেন, আমরা শুধু কৃষ্ণাঙ্গদেরই হত্যা করি।” সেই ভিডিও নিয়ে তোলপাড় হয়েছে গোটা জর্জিয়া। স্বাভাবিক ভাবেই উঠে এসেছে জাতিবিদ্বেষের অভিযোগ। ঘটনাটি তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় নানা মহলে। প্রশ্ন ওঠে, এক জন পুলিশ অফিসার হয়ে কী ভাবে এমন কথা বলতে পারেন? প্রবল চাপের মুখে পড়ে ওই অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়।

আরও খবর: হার্ভের পরে এ বার ইরমা-র চোখরাঙানি

Advertisement

আরও খবর: খালি হাতেই সশস্ত্র ডাকাতদের মহড়া, ভিডিও দেখলে চমকে যাবেন

আটলান্টা জার্নাল কনস্টিটিউশন সূত্রে খবর, অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার গ্রেগ অ্যাবট তাঁর কাজ থেকে ইস্তফা দিতে চেয়ে দফতরকে চিঠি পাঠিয়েছেন। এখন এই চিঠি গ্রহণ করা হবে, না কি তাঁকে কাজ থেকে বের করে দেওয়া হবে, সেটা স্পষ্ট নয় বলে জার্নাল জানিয়েছে। ৩০ বছর ধরে জর্জিয়া পুলিশে রয়েছেন গ্রেগ। সাংবাদিক বৈঠকে কব কাউন্টি পুলিশের প্রধান মাইক রেজিস্টার জানান, ‘গ্রেগ খুব দায়িত্বের সঙ্গেই কাজ করতেন। কিন্তু তিনি একটা বড় ভুল করে ফেলেছেন। জানি তিনি কী বলেছেন।’ এর পাশাপাশি তিনি ইঙ্গিত দেন, এই ভুলের মাসুলও গ্রেগকে দিতে হবে। রেজিস্টার এক বিবৃতিতে জানান, কোন পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেগ এমন কথা বলেছেন সেটা বড় বিষয় নয়, তিনি যে ধরনের কথা বলেছেন সেটা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এটা পুলিশ দফতরের সংস্কৃতি নয়।

ওই মহিলার আইনজীবী আদালতে জানান, তিনি ভিডিওটাকে দেখে শিউরে উঠেছেন। জর্জ যে ভাবে তাঁর মক্কেলকে বলেছেন সেটাকে হালকা ভাবে নেওয়া চলে না! অনেক মানুষই এ ধরনের বার্তায় ভয় পাবেন।

আমেরিকায় জাতিবিদ্বেষের ঘটনা নতুন নয়। কর্তব্যরত পুলিশ কর্তা বা কর্মীদের বর্ণবিদ্বেষী আচরণের প্রমাণ অনেক বার সে দেশে মিলেছে। এখনও মিলছে। জর্জের ঘটনাটাকেও যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই দেখছে মার্কিন প্রশাসন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement