ছবি সংগৃহীত
পিছমোড়া করে হাত বেঁধে বেধড়ক মারছিল ওরা। মারের চোটে জ্ঞান হারান। শেষে জ্ঞান যখন ফিরল তখন প্রায় ঘণ্টাখানেক পেরিয়ে গিয়েছে— গত বুধবার মহিলাদের অধিকারের দাবিতে মিছিলে শামিল হয়ে ‘সুর চড়ানোর’ জন্য ‘কাফির’ আখ্যা দিয়ে এ ভাবেই ‘শাস্তি’ দেওয়া হয় তাঁকে, জানালেন হাবিবুল্লা ফরজ়াদ। এই মানবাধিকার কর্মী অবশ্য একা নন। আফগানিস্তানে তাঁদের সমান অধিকার ফেরানোর দাবিতে আয়োজিত সেই বিক্ষোভ কর্মসূচিতে মহিলাদের সমর্থন জানানোয় ‘ইসলাম বিরোধিতার’ অপবাদে তাঁর মতো আরও অনেকের উপরেই এমন অত্যাচার চালায় তালিবান। সেই তালিকায় রয়েছেন একাধিক সাংবাদিকও।
জ্ঞান ফেরার পর তাঁকে যেখানে নিয়ে যাওয়া হল, সেখানে আরও অনেকেই ছিলেন। যাঁদেরও ওই একই কারণে আটক করেছিল তালিবান, জানালেন হাবিবুল্লা। ঘরটিতে ছিলেন একাধিক সাংবাদিকও। প্রহারের পাশাপাশি প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয় হাবিবুল্লাকে। তাঁর কথায়, ‘‘তালিবেরা আমাকে বলে, তুমি ইসলাম-বিরোধী কাজ করেছ। তাই তোমার মতো কাফিরদের হত্যা করতে আমাদের কোনও বাধা নেই।’’
আফগানিস্তান তালিবানের দখলে চলে যাওয়ার পর থেকে মানবাধিকার রক্ষা কর্মীদের উপর এ রকম হামলা প্রায় রোজকার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। রক্ষা পাননি সাংবাদিকেরাও। সাইরা সালিম নামে এক মহিলা সাংবাদিক জানান, তাদের বিরুদ্ধে মন্তব্য করায় তাঁকে খুঁজছে তালিবান। কিছু দিন আগে তাঁর বাড়িতে হানা দেয় ছ’জন তালিবের একটি দল। খাটের তলায় লুকিয়েছিলেন সাইরা। তাঁর বাবাকে একাধিক প্রশ্ন করেন ওই তালিবেরা। সাইরা বাড়ি নেই শুনে সে বারের মতো ফিরে গেলেও আবার ফিরে আসার হুমকি দিয়ে যান তাঁরা।