ওয়ারেন বাফে। ছবি: সংগৃহীত।
দীর্ঘদিনের বন্ধু বিল গেটসের ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন ধনকুবের ওয়ারেন বাফে। বিল এবং মেলিন্ডা গেটসের বিবাহ বিচ্ছেদের পর তাঁদের ফাউন্ডেশনে এমনিতেই ধাক্কা লেগেছিল। এ বার বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের ধনকুবের কর্ণধার বাফের সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তে তাতে আরও ঝাঁকুনি লাগল বলে মনে করছেন অনেকে।
বুধবার একটি বিবৃতি জারি করে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বাফে। যদিও বিবৃতিতে বাফে লিখেছেন, ‘ফাউন্ডেশনের সঙ্গে আমার লক্ষ্যের ১০০ শতাংশ সমন্বয় রয়েছে।’
বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের মাধ্যমে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে তাঁর সাম্রাজ্য গড়ে তোলা ৯০ বছরের বাফের দানের পরিমাণও কিছু কম নয়। গত ১৫ বছরে নিজের সম্পত্তি থেকে ২ হাজার ৭০০ কোটি ডলারেরও বেশি অর্থ বিভিন্ন সংস্থায় দান করেছেন তিনি। বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের সমস্ত শেয়ারও দান করার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর। বুধবারের বিবৃতিতে বাফে জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত সেই লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক পূরণ হয়েছে।
মাইক্রোসফটের প্রাক্তন প্রধান বিল গেটসের ফাউন্ডেশনের বোর্ডে বাফে ছাড়াও ছিলেন বিল এবং তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস। তবে গত মাসে ২৭ বছরের দাম্পত্য জীবনে ছেদ পড়েছে বিল-মেলিন্ডার। যদিও বিচ্ছেদের পরেও তাঁরা ফাউন্ডেশনের কাজে আগের মতোই জড়িত থাকবেন বলে জানিয়েছিলেন। তবে এই ফাউন্ডেশেন থেকে বাফের সরে যাওয়ায় তার প্রভাব সংস্থায় পড়বে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও গত মাসে কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকের পর সংস্থার সিইও মার্ক সুজম্যান জানিয়েছিলেন, ‘ফাউন্ডেশনের দীর্ঘমেয়াদী স্থায়িত্ব বৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা’র দিকে নজর দেওয়াই লক্ষ্য হবে তাঁর। ট্রাস্টি পদ থেকে সরলেও সুজম্যানের প্রতি তাঁর সম্পূর্ণ সমর্থন থাকবে বলে বাফে জানিয়েছেন। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, নিজের বিবৃতিতে বন্ধু বিলের বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে একটি কথাও উল্লেখ করেননি বাফে।