কিছুদিন আগেই চিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছিল তাইওয়ানে। ফাইল চিত্র।
চিন-তাইওয়ান যুদ্ধের আশঙ্কার মধ্যেই চিন থেকে ৩৬টি যুদ্ধ বিমান পৌঁছল তাইওয়ানের কাছাকাছি এলাকায়। এর মধ্যে ১০টি বিমান মধ্যরেখাও অতিক্রম করে গিয়েছে বলে তাইওয়ান প্রশাসন সূত্রে খবর।
মধ্যরেখা বা মিডিয়ান লাইন হল তাইওয়ান প্রণালীর মাঝামাঝি এলাকা। এই তাইওয়ান প্রণালী চিনের মূল ভূখণ্ড থেকে আলাদা করেছে তাইওয়ানকে। চিনের যুদ্ধ বিমান মধ্য রেখা অতিক্রম করার অর্থ তারা একরকম তাইওয়ানের সীমানাই লঙ্ঘন করেছে। তাইওয়ান প্রশাসন শনিবার জানিয়েছে, ছ’টি শেনইয়াং জে-১১ এবং চারটি জে-১৬ বিমানকে মধ্যরেখা অতিক্রম করতে দেখা গিয়েছে। তবে এ ছাড়াও তাইওয়ানের কাছাকাছি যে চিনা বিমানগুলিকে দেখা গিয়েছে, তার মধ্যে চারটি যুদ্ধ বিমান, একটি সাবমেরিন ধ্বংসকারী বিমান এবং তিনটি বোমারু বিমান চিহ্নিত করতে পেরেছেন তাইওয়ান সেনাবাহিনী। তাইওয়ান সেনা তাদের নিজস্ব ওযেবসাইটে আরও জানিয়েছে, মধ্যরেখার কাছে চিনের তিনটি ড্রোনও দেখতে পেয়েছে তারা।
প্রসঙ্গত, তাইওয়ান হল স্ব-শাসিত গণতান্ত্রিক দ্বীপরাষ্ট্র। যা চিন নিজের ভূখণ্ডের অংশ বলে দাবি করে এসেছে বরাবর। অন্যদিকে তাইওয়ানকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আমেরিকাও।আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সম্প্রতিই বলেছেন, “যদি তাইওয়ান অভূতপূর্ব কোনও আক্রমণের মুখে পড়ে, তবে নিশ্চয়ই আমেরিকা তাইওয়ানকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসবে।”
তবে বেজিং সূত্রে খবর, তাইওয়ানের উপর ক্রমশই চাপ বাড়াচ্ছে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। গত কয়েক মাস ধরে ক্রমাগত তাইওয়ানের মধ্যরেখায় ঘোরাফেরা করছে চিনা যুদ্ধ বিমান। তবে এই প্রথম এতগুলি যুদ্ধ বিমানকে এক সঙ্গে দেখা গেল তাইওয়ান সীমান্তে।