বডি বিল্ডার ডেলিভারি পার্সন। টুইটার থেকে নেওয়া ছবি।
করোনার জেরে অনেকেই কাজ হারিয়েছেন। অনেকেই আবার নিজেদের মতো করে বাঁচার উপায় খুঁজে নিয়েছেন। এরই মাঝে জাপানের এক সুশি রেস্তরাঁর খবর সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ভাইরাল হয়েছে। রেস্তরাঁর মালিক এক দিকে বডি বিল্ডার সেই সঙ্গে রাঁধুনী। আর তিনি তাঁর এই দুই ভালবাসাকে এক সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছেন। আর তার ফলেই তাঁর রেস্তরাঁ হয়ে উঠেছে আর পাঁচটার থেকে আলাদা।
জাপানের আনজো শহরে ‘ইমাজুশি’ নামের রেস্তরাঁটি ডেলিভারি পার্সনদের কারণে খবরে উঠে এসেছে। রেস্তরাঁটি ৬০ বছরের পুরনো। এই রেস্তরাঁর তৃতীয় প্রজন্মের মালিক বছর একচল্লিশের মাসানোরি সুগিউরা পেশাদার বডি বিল্ডার। এই বছর ফেব্রুয়ারিতেই তিনি বডি বিল্ডিংয়ের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে তৃতীয় হন।
সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল, এক দিকে রেস্তারাঁ ব্যবসা, সঙ্গে বডি বিল্ডিং। কিন্তু করোনার অতিমারি সব কিছু ওলটপালট করে দিল। মাসানোরি দেখেন তাঁর বডি বিল্ডার বন্ধুরা সব কাজ হারিয়ে বসে রয়েছেন। তাঁদের কথা চিন্তা করতে গিয়ে মাথায় এক নতুন পরিকল্পনা মাথায় আসে। তিনি ভাবেন, রেস্তরাঁর সঙ্গে যদি জুড়ে নেওয়া যায় এই বডি বিল্ডার বন্ধুদের।
আরও পড়ুন: অনলাইনে ক্লাস চলার সময় ছাত্রীর বাড়িতে ডাকাত হানা, ভাইরাল ভিডিয়ো
মাসানোরি বডি বিল্ডার বন্ধুদের দিয়ে এক নতুন হোম ডেলিভারি সিস্টেম চালু করেন। অভিনব বিষয় হল বডি বিল্ডাররা বাড়িতে গিয়ে শুধু সুশি দিয়েই আসবেন না, ক্রেতারা চাইলে তাঁরা জামা খুলে তাঁদের দেহ সৌষ্ঠব প্রদর্শন করবেন। ঘুরে ফিরে দেখাবেন তাঁদের সযত্নে তৈরি পেশি। ক্রেতারা চাইলে তাঁদের ছবিও তুলতে পারেন, কোনও বাধা নেই। শুধু এর জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ সুশি অর্ডার করতে হবে।
আরও পড়ুন: মোবাইল সিম কার্ডে ফুটে উঠল সোনু সুদের ছবি, কী উত্তর দিলেন দেখুন ভক্তকে
স্থানীয় সংবাদপত্র সূত্রে জানা গিয়েছে, দিনে আট থেকে দশটি অর্ডার পাচ্ছে এই রেস্তরাঁ। আর এই পরিষেবা দিয়ে এখনও পর্যন্ত রেস্তরাঁটি ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১০ লাখ ৪১ হাজার টাকা উপার্জন করেছে।
দেখুন ভিডিয়ো: