প্রকাশ্যে গুলি করে মারার দৃশ্য। ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
দ্বিতীয় বার আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের সময় তালিবান জানিয়েছিল, প্রথম বারের নির্বিচার হিংসার পুনরাবৃত্তি হবে না এ বার। এমনকি যাঁরা তালিবান বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে ছিলেন, তাঁদেরও ক্ষমা করে দেওয়া হবে। বাস্তব কিন্তু সে কথা বলছে না।
সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে একটি ভিডিয়ো। অভিযোগ, এই সপ্তাহে পঞ্জশিরের একটি এলাকায় তালিবান-বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়ার অপরাধে এক ব্যক্তিকে দিনের আলোয় গুলি করে মারে তালিবান। গোটা ঘটনাই ধরা রয়েছে ভিডিয়োয়। ওই ব্যক্তিকে গুলি করার পর তালিবান যোদ্ধারা একটি গাড়িতে করে বেরিয়ে যায়। যদিও এই ভিডিয়ো যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
সূত্রের খবর, পঞ্জশিরে এখনও পর্যন্ত অন্তত ২০ জনকে এ ভাবে শাস্তি দিয়েছে তালিবান।
প্রতিবাদীকে এ ভাবেই ‘শায়েস্তা’ করছে তালিবান। ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি-কে একটি সাক্ষাৎকার দেন পঞ্জশিরের বাসিন্দা আবদুল সামি। তাঁকেও খুন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁর অপরাধ, তিনি তালিবান-বিরোধী শক্তিকে মোবাইল ফোনের সিম কার্ড বিক্রি করেছিলেন। দুই সন্তানের বাবা আব্দুলকে পালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু আব্দুলের বিশ্বাস ছিল, তালিবান তাঁকে কিছু করবে না।
জানা যাচ্ছে, পঞ্জশির দখলের পরই আব্দুলকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা। তার পর বাড়ি থেকে কিছু দূরে আব্দুলের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মৃত্যুর আগে আব্দুলের উপর নৃশংস অত্যাচার করা হয়েছিল।
তালিবান বদলে গিয়েছে। দ্বিতীয় বার ক্ষমতা দখলের পর এই কথাই বলছিলেন তাবড় তালিব নেতারা। কিন্তু ঘটনাচক্রে তালিবান যে তালিবানেই রয়েছে, তার সবচেয়ে বড় প্রমাণ পঞ্জশিরের ভিডিয়ো।