‘ঘোস্ট অফ মাউন্টেনস’। ছবি: সংগৃহীত।
বরফে ঢাকা পাহাড়। তার ফাঁক দিয়েই রুক্ষ এবং এবড়োখেবড়ো পাথর ধূসর এবং বাদামি রঙের পাথর দেখা যাচ্ছে। হঠাৎই একটি পাহাড়ি ছাগলকে দেখা গেল। সেটি প্রাণপণে ছুটছিল। তার ঠিক পিছনেই দেখা গেল ‘পাহাড়ি ভূত’কে! হ্যাঁ, ‘পাহাড়ি ভূত’। তবে এই ‘ভূত’ অশরীরী নয়। এই ভূত হল ‘স্নো লেপার্ড’ বা তুষার চিতাবাঘ। যারা ‘ঘোস্ট অফ মাউন্টেনস’ নামে পরিচিত।
শিকার ধরার জন্য নিজের জীবনকেও বাজি রেখেছিল এই চিতাবাঘ। বরফঢাকা পাহাড়ে সেটির শিকার ধরার একটি ভিডিয়ো আবার ভাইরাল হয়েছে। দুর্দান্ত সেই ভিডিয়ো দেখলেই বোঝা যাবে, কেন তাদের ‘ঘোস্ট অফ মাউন্টেনস’ বলা হয়। চিতাবাঘটিকে দেখে নিজেকে বাঁচাতে বড় বড় লাফ মেরে পাথরের খাঁজ এড়িয়ে ছুটছিল পাহাড়ি ছাগল। শিকার নাগালে পেয়ে হাতছাড়া করতে যেন মোটেই রাজি ছিল না বাঘটি। তাই ছাগলটিকে লক্ষ্য করে সেটিও ঝাঁপ মারে।
কিন্তু তত ক্ষণে ছাগলটি পাহাড়ের একটি খাঁজ থেকে ৭০-৮০ ফুট নীচে লাফিয়ে পড়েছে। চিতাবাঘটিও ছাগলের পিছনের একটি পা তত ক্ষণে নিজের দাঁতের ফাঁকে ধরে ফেলেছিল। ছাগলটিকে নিয়েই ৮০ ফুট নীচে আছড়ে পড়ল ‘পাহাড়ি ভূত’। তালগোল পাকিয়ে গেলেও তখনও শিকার কিন্তু ফস্কে যায়নি বাঘের মুখ থেকে। আছড়ে পড়ার পর পাহাড়ের গা বেয়ে বেশ কয়েক পাক গড়িয়ে পড়েও হাতছাড়া হতে দেয়নি শিকারকে। যে কোনও মুহূর্তেই মৃত্যু হতে পারত বাঘটির। কিন্তু তুষারের আড়ালে থেকে এ ভাবেই শিকারে অভ্যস্ত ‘ঘোস্ট অফ মাউন্টেনস’। একেই হয়তো বলে লক্ষ্য যদি স্থির থাকে, সব বাধাই তার সামনে তুচ্ছ।