অধিকার: ভোট দিচ্ছেন ভেনেজুয়েলার ফার্স্ট লেডি সিসিলা ফ্লোরস। রবিবার কারাকাসে। ছবি: রয়টার্স।
বিরোধীদের প্রবল বিক্ষোভ আর দেশ জুড়ে চলতে থাকা অশান্তির মধ্যেই আজ ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হল ভেনেজুয়েলায়। সকাল ছ’টায় খুলে দেওয়া হয় ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের দরজা। টানা ১২ ঘণ্টা চলবে ভোটগ্রহণ। গোলমালের আশঙ্কায় বুথের সামনে প্রায় চার লক্ষ নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করেছে নিকোলাস মাদুরোর সরকার।
সাংবিধানিক সভা গঠনের জন্য দেশ জুড়ে নির্বাচনের ডাক দিয়েছিলেন দেশের প্রেসিডেন্ট মাদুরো। দেশের সাধারণ মানুষের সঙ্গে নির্বাচিত কিছু প্রতিনিধিও ওই ভোটে অংশ নিচ্ছেন আজ। ওই সভা গঠিত হলে দেশের সংবিধান নতুন করে লেখার ক্ষমতা চলে আসবে মাদুরোর হাতে। দক্ষিণ আমেরিকার ধুঁকতে থাকা এই দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করার এটাই একমাত্র রাস্তা বলে দাবি করে আসছেন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু বিরোধীরা প্রথম থেকেই অভিযোগ করে আসছেন, একবার সাংবিধানিক সভা গঠন হয়ে গেলে দেশে গণতন্ত্রের কোনও অস্তিত্বই থাকবে না। গোটা ভেনেজুয়েলায় একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠাই মাদুরোর আসল উদ্দেশ্য। কারণ ৫৪৫ সদস্যের সাংবিধানিক সভায় সব সদস্যই হবেন প্রেসিডেন্টের অনুগত।
ভোটের বিরোধিতায় তাই গত কয়েক মাস ধরে রাস্তায় নেমেছিলেন সাধারণ মানুষ। কড়া হাতে দমন করা হয়েছে সেই বিক্ষোভ। মারা গিয়েছেন বহু বিক্ষোভকারী। গত কাল রাতে নিজের বাড়ির সামনে খুন হন হোসে ফেলিক্স পিনেদা নামে এক প্রার্থীও। সরকার জানিয়েছে, খুনের তদন্ত করছে পুলিশ।
তবে রক্তাক্ত সংঘর্ষেও হাল ছাড়েননি মাদুরো। আজ সকালে রাজধানী কারাকাসে প্রথম ভোটটি তিনিই দিয়েছেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী সিলিয়া ফ্লোরস-ও। ভোট দিয়ে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘ভেনেজুয়েলায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার রাস্তা প্রশস্ত হল।’’