প্রতীকী চিত্র।
ডেল্টার নতুন রূপ ছড়িয়ে পড়ায় দুর্বল হচ্ছে টিকার কার্যকারিতা। প্রথম সারির যে করোনা যোদ্ধারা নিয়মিত করোনা রোগীদের কাছাকাছি আসেন সম্প্রতি তাঁদের নিয়ে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। তাতে দেখা গিয়েছে, সম্পূর্ণ টিকা নেওয়ার পর যে করোনা যোদ্ধারা ডেল্টার নতুন রূপের সংস্পর্শে এসেছেন তাঁদের দেহে টিকার কার্যকারিতা কমেছে।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, টিকা নেওয়ার পর এই করোনা যোদ্ধাদের ৯১ শতাংশ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ছিল। সেই ক্ষমতা কমে এখন গড়ে ৬৬ শতাংশে ঠেকেছে। সমীক্ষাটি হয়েছে আমেরিকায়। যদিও এই ফলাফল দেখার পরেও বিশেষজ্ঞদের মত, টিকার গুরুত্ব অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই। কারণ ক্ষমতা কমলেও করোনা প্রতিরোধ করতে যে টিকাই আপাতত মহৌষধ, সে ব্যাপারে দ্বিমত নেই। তাই এখনই এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া ঠিক নয়।
সমীক্ষায় পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করেছে আমেরিকার সেন্টার অফ ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি)। সংস্থাটির বক্তব্য, ‘যদিও সমীক্ষায় পাওয়া তথ্য বলছে টিকার প্রভাব সামান্য কমেছে। কিন্তু কমার পরও টিকার যে ক্ষমতা থেকে যাচ্ছে তাকে এড়িয়ে যাওয়া চলে না।’ সিডিসি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, টিকার ক্ষমতা এক তৃতীয়াংশ কমেছে বলে জানানো হয়েছে ওই তথ্যে। কিন্তু তারপরও দুই-তৃতীয়াংশ রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা অবশিষ্ট থাকছে। করোনা প্রতিরোধের জন্য এই ক্ষমতা যথেষ্ট।
ডেল্টা রূপের প্রভাবে টিকার ক্ষমতা কমে যাওয়ার কথা এর আগে বলেছিলেন ইজরায়েল এবং ব্রিটেনের বিশেষজ্ঞরা। আমেরিকার সমীক্ষায় পাওয়া তথ্য সেই তত্ত্বকে সঠিক প্রমাণ করলেও বিষয়টিকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিতে নারাজ আমেরিকা। তবে প্রকাশ্যে গুরুত্ব না দিলেও ইতিমধ্যেই প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের বুস্টার টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন।