দক্ষিণ চিন সাগরে মার্কিন রণতরী ‘কার্টিস উইলবার’।
কিছু দিন থিতিয়ে থাকার পর আবার উত্তেজনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে দক্ষিণ চিন সাগর।
বেজিংয়ের অভিযোগ, আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতির পরোয়া না করে দক্ষিণ চিন সাগরের প্যারাশেল দ্বীপপুঞ্জের অন্যতম দ্বীপ ট্রাইটনের কাছে ১২ নটিক্যাল মাইলের বিতর্কিত এলাকায় ফের ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজ ঢুকিয়ে দিয়েছে আমেরিকা। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ ব্যাপারে ওয়াশিংটনের উদ্দেশে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে।
উপগ্রহ চিত্রে দক্ষিণ চিন সাগরের ট্রাইটন দ্বীপ।
দীর্ঘ দিন ধরেই দক্ষিণ চিন সাগরে ট্রাইটন দ্বীপটিকে তার ‘নিজের এলাকা’ বলে দাবি করে আসছে চিন।ভিয়েতনাম ও তাইওয়ানেরও বহু দিনের দাবি, ট্রাইটন দ্বীপটি তাদের এলাকা। যেহেতু আন্তর্জাতিক স্তরে এখনও বিষয়টির ফয়সলা হয়নি, তাই পেন্টাগন জানিয়েছে, এটা তাদের ‘রুটিন টহলদারি’। দক্ষিণ চিন সাগরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ‘রুটিন টহলদারি’ চালিয়ে যাওয়া হবে বলে তিন মাস আগেই পেন্টাগনের তরফে জানানো হয়েছিল। শনিবার দক্ষিণ চিন সাগরে ওই মার্কিন যুদ্ধজাহাজের অনুপ্রবেশের পর কোনও রাখঢাক না করেই আজ পেন্টাগনের মুখপাত্র মার্ক রাইট বলেছেন, ‘‘চিনকে আগাম কিছু না জানিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ‘কার্টিস উইলবার’ ট্রাইটন দ্বীপে ঢুকে পড়ে কোনও অন্যায় করেনি। বরং দক্ষিণ চিন সাগরের ওই এলাকাটি নিয়ে বেজিংয়ের দাবিকে চ্যালেঞ্জ জানাতেই ওই দ্বীপে পাঠানো হয়েছে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ। একই সঙ্গে বার্তা দেওয়া হয়েছে ভিয়েতনাম ও তাইওয়ানকেও।’’