(বাঁ দিকে) জো বাইডেন ও শাহবাজ় শরিফ। —ফাইল চিত্র।
ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তির পথে হাঁটলে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ার ঝুঁকির কথাও মাথায় রাখতে হবে। ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসির ইসলামাবাদ সফরের পরে ঠিক এই ভাষাতেই আমেরিকা হুঁশিয়ারি দিল পাকিস্তানকে। এই হুঁশিয়ারি পাকিস্তানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির প্রকল্পের পথে বাধা তৈরি করতে পারে বলেও আশঙ্কা থাকছে।
ইজ়রায়েলকে নিশানা করে আকাশপথে ইরানের সাম্প্রতিক হামলা নিয়ে সরগরম দুনিয়া। এর পরে রইসির তিন দিনের পাকিস্তান সফরে ৮টি দ্বিপাক্ষিক সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত
হয়েছে। তার পরেই আমেরিকান বিদেশ দফতরের মুখ্য উপ-সচিব বেদান্ত পটেল এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, ‘‘গণবিধ্বংসী অস্ত্র কেনার নেটওয়ার্কের বিস্তার যেখানেই ঘটবে, আমরা সেখানে বাধা দেব এবং ব্যবস্থা নেব। ইরানের সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তিতে যারা যাবে, তাদের বলব নিষেধাজ্ঞার কোপে পড়ার সম্ভাব্য ঝুঁকির কথাটাও মাথায় রাখতে।’’
নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারির কারণ জানতে চাওয়া হলে পটেল বলেন, ‘‘কারণ, এরা হল সেই সব সংস্থা, যারা গণবিধ্বংসী অস্ত্র ছড়িয়ে দিচ্ছে। এদের ঘাঁটি চিন এবং বেলারুসে। এরা পাকিস্তানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পের যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য উপকরণ সরবরাহ করেছিল।’’ কোন সংস্থা, বেদান্ত তা স্পষ্ট করেননি।
জানুয়ারিতে পাক বালুচিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় ইরান। তারা জানিয়েছিল, জঙ্গি গোষ্ঠী জইশ অল-অদলের ঘাঁটি ধ্বংস করতেই ওই হামলা। এক দিনের মধ্যেই ইরানের সীমান্ত পেরিয়ে পাল্টা হামলা চালায় পাকিস্তান। সেই চাপানউতোরের আবহে শাহবাজ় শরিফের নতুন সরকার গঠনের পরে আচমকাই ইরানের প্রেসিডেন্ট সস্ত্রীক সফর করলেন পাকিস্তানে। যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে শাহবাজ় কাশ্মীর প্রসঙ্গ টানতে চাইলেও সাড়া দেননি রইসি। তবে দুই দেশই জানিয়েছে, বেশ কিছু বিষয়ে সমন্বয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই ঘোষণা আমেরিকার কাছে নিঃসন্দেহে অস্বস্তিকর।