(বাঁ দিকে) বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও কমলা হ্যারিস (ডান দিকে)। ছবি: এএফপি
গাজ়া নিয়ে কি এ বার আমেরিকার নীতিতে সম্ভাব্য বদলের পূর্বাভাস দিলেন কমলা হ্যারিস? আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলার সঙ্গে বৃহস্পতিবারই বৈঠক করেছেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। গাজ়া ভূখণ্ডে ইজরায়েলের ‘যুদ্ধ পরিস্থিতি’ নিয়েও সেই বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। গাজ়া ভূখণ্ডে ইজরায়েল যাতে ‘যুদ্ধ’ বন্ধ করে, তা নিয়ে চাপ বাড়ালেন ইজ়রায়েলের উপর। বৈঠকের পর টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভিডিয়োবার্তায় আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেছেন, “এ বার যুদ্ধ থামানোর সময় এসেছে।”
এর পরই কমলা সাংবাদিকদের বলেন, “বিগত ন’মাস ধরে গাজ়ায় এক ধ্বংসাত্মক ছবি উঠে এসেছে। শিশুরা মারা গিয়েছে। নিরাপদ একটি আশ্রয়ের জন্য মানুষজন ছুটে পালাচ্ছেন। কেউ দ্বিতীয় বার, কেউ তৃতীয় বার, কেউ আবার চতুর্থ বার আস্তানা বদল করে ছুটছেন নিরাপদে মাথা গোঁজার জায়গা খুঁজতে।”
আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট এর পর আরও জানান, এমন একটি দুঃখজনক পরিস্থিতিতে মুখ ফিরিয়ে থাকা যায় না। তিনি বলেন, “যে পরিস্থিতি সেখানে রয়েছে, তাতে আমরা কিছু না করে চুপচাপ বসে থাকতে পারি না। আমি চুপ করে থাকব না।”
উল্লেখ্য, প্যালেস্টাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে গাজ়া ভূখণ্ডে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ইজ়রায়েল। হামাসদের সঙ্গে ইজ়রায়েলের যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝে পরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন গাজ়ার সাধারণ মানুষ। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এত দিন পর্যন্ত গাজ়া প্রসঙ্গে এত স্পষ্ট ভাবে কোনও বার্তা দেননি। অনেকের মতে, ইজ়রায়েল পশ্চিম এশিয়ায় আমেরিকার সবচেয়ে নিকট বন্ধু হওয়াই এর অন্যতম কারণ । তবে সামনেই নভেম্বর মাসে আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আসন্ন নির্বাচনের দৌড় থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাইডেন। তিনি ডেমোক্র্যাটিক শিবির থেকে কমলাকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী করার প্রস্তাব দিয়েছেন। ডেমোক্র্যাটিক দলের তরফে এখনও চূড়ান্ত ঘোষণা না করা হলেও দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন কমলাই। তা হলে কি ডেমোক্র্যাটিক শিবির নির্বাচনে জিতলে গাজ়া নিয়ে আমেরিকার নীতিতে বদল আসতে পারে? সেই নিয়েও চর্চা শুরু হয়েছে কূটনৈতিক মহলে।