US on CAA in India

সিএএ নিয়ে উদ্বিগ্ন আমেরিকা, কী ভাবে প্রয়োগ করবে ভারত? নজর রাখা হচ্ছে ওয়াশিংটন থেকে

আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বৃহস্পতিবার সিএএ নিয়ে ওয়াশিংটনের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। গোটা বিষয়টি যে তাঁরা পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৪ ১২:২৫
Share:

ভারতে সিএএ আইন জারি করার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। —ফাইল চিত্র।

ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে উদ্বিগ্ন আমেরিকা। কী ভাবে এই আইন প্রণয়ন করা হবে, তার দিকে নজর রাখা হয়েছে। এমনটাই জানালেন আমেরিকার বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। বৃহস্পতিবার তিনি সিএএ নিয়ে ওয়াশিংটনের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। গোটা বিষয়টি তাঁরা পর্যবেক্ষণ করছেন।

Advertisement

এ প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, ‘‘গত ১১ মার্চ ভারত সরকার সিএএ নিয়ে যে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, আমরা তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এই আইন কী ভাবে প্রণয়ন করা হচ্ছে, আমরা তার দিকে নজর রেখেছি। ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধা এবং আইনে সব সম্প্রদায়ের সমান অধিকার মৌলিক গণতান্ত্রিক নীতি।’’

ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আইনে পরিণত হয়েছিল চার বছর আগেই। সম্প্রতি লোকসভার ভোটের প্রাক্কালে গত সোমবার ‘আচমকা’ সিএএ আইন চালু করার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। ওই আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ থেকে যদি সে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে এ দেশে আশ্রয় চান, তা হলে তা দেবে ভারত। সংসদের দু’কক্ষে পাশ হওয়ার পরে দেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও অনুমোদন দেন সিএএ বিলে। কিন্তু এত দিন ধরে সিএএ কার্যকর করা নিয়ে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। সোমবার সেই বিজ্ঞপ্তি জারির পরেই দেশ জুড়ে আলোড়ন তৈরি হয়।

Advertisement

বিরোধীদের অভিযোগ, লোকসভা ভোটের দামামা বাজতেই সিএএ দিয়ে ভোট বৈতরণী পার হতে চাইছে বিজেপি। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে ভোটের আগে মোদী সরকারের ‘ছলনা’ এবং ‘প্রতারণা’ বলে কটাক্ষ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রশ্ন, যাঁদের ভোটে সরকার তৈরি হয়েছে, তাঁদের নাগরিকত্ব নিয়ে কী ভাবে প্রশ্ন তুলতে পারে কেন্দ্র? সিএএ-র সঙ্গে এনআরসি-র ঘনিষ্ঠ যোগ আছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। তাঁর আশঙ্কা, সিএএ প্রয়োগের মাধ্যমেই বহু নাগরিকের নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে বিজেপি সরকার। তাঁদের পাঠিয়ে দেওয়া হবে ‘ডিটেনশন ক্যাম্পে’। মমতার কথায়, ‘‘কাউকে অধিকার দিলে আমরা খুশি হই। কিন্তু সারা বিশ্বে যে ভাবে করা হয়, সে ভাবে করলে আমাদের কোনও অসুবিধা ছিল না।’’ বিজেপির তরফে মমতার এই বার্তার বিরোধিতা করা হয়েছে। ভোটের মুখে সিএএ কার্যকর করা নিয়ে দেশ জুড়ে যখন মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে, আমেরিকাও এ বিষয়ে তাদের উদ্বেগের কথা জানাল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement