Bangladesh Liberation War

’৭১-এ বাংলাদেশে ‘গণহত্যা’র জন্য ক্ষমা চাক পাকিস্তান, প্রস্তাব আমেরিকার প্রতিনিধি সভায়

স্টিভ চ্যাবট টুইটে লেখেন, ‘রিপাবলিকান রো খন্নার সঙ্গে আমি এই প্রস্তাব উত্থাপন করেছি যে, সেই সময় পাক সেনা বাঙালি এবং হিন্দুদের বিরুদ্ধে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল।’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২২ ১৪:০০
Share:

প্রস্তাবে দাবি করা হয়েছে, ’৭১-এর যুদ্ধে পাক সেনার কৃতকর্মের জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে হবে। গ্রাফিক— সনৎ সিংহ।

১৯৭১-এর যুদ্ধে পাকিস্তানের সেনা বাংলাদেশে গণহত্যা চালিয়েছিল। এই মর্মে প্রস্তাব পেশ হল আমেরিকার নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি সভায় (হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস)। প্রস্তাবে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এর সমর্থনে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, দীর্ঘ দিন ধরেই এই প্রয়াস চলছিল। কিন্তু এই প্রথম তা প্রকাশ্য প্রস্তাব আকারে আমেরিকার পার্লামেন্টে পেশ করা হল।

Advertisement

শুক্রবার, প্রতিনিধি সভায় প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন দুই কংগ্রেস সদস্য রো খন্না এবং স্টিভ চ্যাবট। প্রস্তাবাকারে বলা হয়েছে, ’৭১-এর যুদ্ধে পাক সেনার কৃতকর্মের জন্য পাকিস্তানকে ক্ষমা চাইতে হবে।

তার পরেই এ বিষয়ে টুইট করেন স্টিভ। তাতে তিনি লেখেন, ‘‘১৯৭১ সালের বাংলাদেশ গণহত্যাকে ভুলে গেলে চলবে না। ওহিয়োর ফার্স্ট ডিস্ট্রিক্টে আমার হিন্দু ভোটদাতাদের সাহায্য নিয়ে রো খন্নার সঙ্গে আমি এই প্রস্তাব উত্থাপন করেছি যে, সেই সময় পাক সেনা কর্তৃক বাঙালি এবং হিন্দুদের বিরুদ্ধে গণহত্যাই সংঘটিত হয়েছিল।’’

Advertisement

একই ভাবে টুইট করেছেন রিপাবলিকান রো খন্নাও। ওই সময়কে বিস্মৃত গণহত্যা বলে অভিহিত করে তিনি লিখেছেন, এ ব্যাপারে স্টিভের সঙ্গী হতে পেরে তিনি গর্বিত। তিনি টুইটে লেখেন, বিস্মৃত সেই গণহত্যার জেরে লক্ষ লক্ষ বাঙালি ও হিন্দু হয় মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছিলেন কিংবা ভিটেহারা হতে হয়েছিল।

প্রস্তাবে এ-ও বলা হয়েছে, ১৯৭১-এর ২৮ মার্চ ঢাকার আমেরিকার কনসাল জেনারেল আর্চার ব্লাড ঘটনাপ্রবাহকে ‘গণহত্যা’ বলে অভিহিত করেছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী একেএম মোজাম্মেল হক গত মাসেই আহ্বান জানিয়েছিলেন, নিরস্ত্র বাঙালিদের উপর পাক সেনার ভয়াবহ অত্যাচার এবং নির্মম নিধনলীলাকে গণহত্যার তকমা দিতে এগিয়ে আসুক আন্তর্জাতিক সমাজ। ২৫ মার্চ দিনটিকে বাংলাদেশ ‘জাতীয় গণহত্যা দিবস’ হিসাবে পালন করবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement