চলছে ভোটদাতাদের আর্লি ভোটিং। ছবি এএফপি।
রাত পোহালেই সেই বহু প্রতীক্ষিত মঙ্গলবার। ভোট দেবে আমেরিকা। আগামী চার বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টকে নির্বাচন করবেন দেশের প্রায় ১৫.৩ কোটি নথিভুক্ত ভোটার (যা মোট ভোটদাতার ৬৫ শতাংশ)। তার মধ্যে অতিমারি আবহে সংক্রমণের আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই ভোট দিয়ে ফেলেছেন ৯ কোটি ২৫ লক্ষ ভোটার। এই সংখ্যাটি গত বারের মোট ভোটদাতার (১৩.৬৫ কোটি) দুই-তৃতীয়াংশ এবং এ বার মোট যত ভোট পড়তে পারে, তার অর্ধেকের বেশি। এই বিপুল সংখ্যক ‘পোস্টাল ও আর্লি ভোটিং’ বেনজির।
ভোটের বছর। প্রত্যাশিতই ছিল, তা নিয়ে চর্চা চলবে অনেক আগে থেকে। কিন্তু বছরের গোড়ায় ২৫ ন্যানোমিটার ব্যাসার্ধের এক ভাইরাস ছবিটা পাল্টে দিল। আমেরিকায় প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে উত্তর-পশ্চিমের প্রদেশ ওয়াশিংটনে। সেটা ২০ জানুয়ারির কথা। তার পরে ন’মাস পেরিয়েছে। বিভিন্ন জনমত সমীক্ষা বলছে, পাল্লা ভারী ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী, বারাক ওবামার আমলের ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তাঁর সঙ্গী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের দিকেই।
আমেরিকায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৯৪ লক্ষ পার। মৃত ২ লক্ষ ৩৬ হাজারের বেশি। নিজে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার পরেও ট্রাম্প বলেই যাচ্ছেন, ‘দেশ ঘুরে দাঁড়াচ্ছে’। আজও হুমকি দিয়েছেন, ফের ক্ষমতায় এলে তাঁর অন্যতম প্রধান সমালোচক, করোনা টাস্ক ফোর্সের প্রধান অ্যান্টনি ফাউচিকে বরখাস্ত করবেন। এই অতিমারি-সঙ্কট সামলাতে না-পারাটা প্রেসিডেন্টের বিপক্ষেই যাবে বলে মনে করছেন সমীক্ষকেরা।
আরও পড়ুন: ‘আমি ওবামা, প্রেসিডেন্ট ছিলাম, মনে আছে তো?’