US Economic Crisis

চলতি বছরেই মন্দা আমেরিকায়! বাড়তে পারে বেকারত্বের হার, শুল্ক ঘোষণার পর পূর্বাভাস মার্কিন অর্থনৈতিক সংস্থার

আমেরিকায় মন্দার পূর্বাভাস দিয়েছে মার্কিন অর্থনৈতিক সংস্থা জেপি মর্গ্যান। চলতি বছরেই সঙ্কুচিত হতে পারে জিডিপি। কমতে পারে আমদানি এবং উৎপাদন। এর ফলে আমেরিকায় বেকারত্বও বাড়তে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৫ ১১:৫৮
Share:
US financial service company JP Morgan forecast recession this year after Donald Trump’s tariff announcement

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির ফলে মন্দার মুখে আমেরিকার অর্থনীতি। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

মার্কিন অর্থনৈতিক সংস্থা জেপি মর্গ্যান আমেরিকায় মন্দার পূর্বাভাস দিল। চলতি বছরেই আমেরিকান অর্থনীতি মন্দার মুখোমুখি হতে পারে বলে তাদের অনুমান। সেই সঙ্গে দেশ জুড়ে বেকারত্বের পরিমাণও বেড়ে যাবে। জেপি মর্গ্যানের প্রধান অর্থনীতিবিদ মাইকেল ফেরোলি জানিয়েছেন, চলতি বছরের শেষ দিকে আমেরিকার মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্টস বা জিডিপি) সঙ্কুচিত হতে পারে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির কারণেই এই সমস্যার সম্মুখীন হতে চলেছে মার্কিন অর্থনীতি। যদি আমেরিকায় মন্দা হয়, সে ক্ষেত্রে তার প্রভাব পড়বে বিশ্ব অর্থনীতিতেও। সারা বিশ্বে মন্দার সম্ভাবনা ৬০ শতাংশ, জানিয়েছে জেপি মর্গ্যান।

Advertisement

আমেরিকার সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ এ প্রসঙ্গে ফেরোলিকে উদ্ধৃত করেছে। তাঁর কথায়, ‘‘শুল্কের চাপে আমাদের জিডিপি সঙ্কুচিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছি। গত বছর আমাদের জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ১.৩ শতাংশ। চলতি বছরে আমরা ০.৩ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি আশা করছি না। যা আগের বছরের তুলনায় বেশ খানিকটা কম।” মার্কিন সংবাদমাধ্যম দ্য হিল জানিয়েছে, আমেরিকায় বেকারত্ব বৃদ্ধির পূর্বাভাসও দিয়েছেন ফেরোলি। তিনি জানিয়েছেন, চলতি বছরে আমেরিকার অর্থনীতি মন্দার মুখোমুখি হলে বেকারত্বের হার ৫.৩ শতাংশে পৌঁছে যেতে পারে।

ভারতীয় সময় অনুযায়ী, বুধবার গভীর রাতে বিভিন্ন দেশের পণ্যের উপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেছেন ট্রাম্প। ভারতের পণ্যে চাপানো হয়েছে ২৬ শতাংশ শুল্ক। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ৯ এপ্রিল থেকে এই বর্ধিত শুল্ক কার্যকর করা হবে। তবে কোনও দেশ যদি এ প্রসঙ্গে আমেরিকার সঙ্গে সমঝোতা করতে চায়, সে পথও খোলা আছে।

Advertisement

ট্রাম্পের এই শুল্ক সংক্রান্ত ঘোষণার পরেই আমেরিকা তথা বিশ্বের বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। আমেরিকার শেয়ার বাজারে ধস নেমেছে। গত ১১ মাসে এই পরিমাণ ধস যেখানে দেখা যায়নি। মাত্র দুই ধাপে ৫ লক্ষ ৪০ হাজার কোটি বাজারমূল্য নষ্ট হয়েছে।

শুল্ক আরোপের ফলে বিভিন্ন দেশ থেকে আমেরিকার আমদানির পরিমাণ অনেক কম হবে বলে মনে করছেন অর্থনীতি বিশেষজ্ঞেরা। তাঁদের পূর্বাভাস, আমদানি কমতে পারে অন্তত ২০ শতাংশ। সার্বিক ভাবে মার্কিন অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়বে। এ ছাড়া, ট্রাম্পের নীতির ফলে অন্যান্য দেশ যদি মার্কিন পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপ করে, সে ক্ষেত্রে রফতানির বাজারও মার খাবে। ইতিমধ্যে চিন ৩৪ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করে দিয়েছে মার্কিন পণ্যের উপরে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement